ঢাকা,  শনিবার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

ইসলামিক শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন দেখতে চাই

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:১০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসলামিক শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন দেখতে চাই

ছবি : মেসেঞ্জার

ইসলামিক শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের আজিম উদ্দিন স্কুল মাঠে জেলা খেলাফতে মজলিস কর্তৃক আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, হিন্দুত্ববাদ উৎখাত হওয়ার পর কেউ যদি চিন্তা করেন আমার এই সোনার বাংলাদেশ, শাহজালাল, শাহ মাজুম খানজাহান আলীর বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদ প্রচার করবেন, নাস্তিক্যবাদ আমদানি করবেন, আপনাদের সঙ্গেও ময়দানে লড়াই হবে। আমরা এটা বরদাস করে নেব না।

আমার আগামী প্রজন্ম, আমার সন্তানেরা রাষ্ট্রীয় খরচে আমাদের স্কুলগুলোতে পড়ালেখা করবে তাদের পাঠ্যসূচি, তাদের পাঠ্যক্রম, শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য ওই সমকামিতার প্রবর্তনকারী কামরুল হাসান মামুন এবং সামিনা লুৎফাসহ ওই পাশ্চাত্যের বেহায়া বেলাল্লা এজেন্ট দেরকে আমরা শিক্ষা কমিশনে দেখতে চাই না। আমরা ইসলামিক চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন দেখতে চাই।

তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এনজিওদেরকে বলি অর্থনীতির সেক্টরে কাজ করবেন ভালো কথা। ধর্মীয় অঙ্গনে যদি কেউ হাত তুলতে চান সেই হাত আমরা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিব। হাসিনা চেয়েছিল হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল বাংলাদেশকে আরেকটি দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করা।

শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করে অর্থনীতির ভিতকে দসিয়ে দেওয়া। একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করা। বাংলাদেশ জাতে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে এটাই ছিল শেখ হাসিনা ও তার দলের রাজনীতি। 

মাওলানা মামুনুল হক তার বক্তব্যে আরও বলেন, সরকারকে বলব ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে হুঁশিয়ার করে দিন। ভারত যদি একের পর এক আমাদের নবীকে নিয়ে কটুক্তি করতে থাকে প্রয়োজনে ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। তারা আমাদের নবীকে গালি দিবে আর আমরা তাদের কাছে ইলিশ মাছ রপ্তানি করব এই প্রেম প্রীতি বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। আমার নবীর ইজ্জতের হেফাজত করতে গিয়ে প্রয়োজনে আমরা পেটে পাথর বাঁধবো।

খেলাফত মজলিস কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল করীমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসনাত জালালি, কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আলিম, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল মোমেন শাহজাহান খেলাফত মজলিস কিশোরগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা খাইরুল ইসলাম ঠাকুর, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

মেসেঞ্জার/সাজু/তারেক

×
Nagad