ছবি : মেসেঞ্জার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শ্রমিক ওমর ফারুক (১৬) এর মরদেহ দাফনের ৫৫ দিন পর উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ডে কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়।
নিহত ওমর ফারুক একটি মুদি দোকানে কর্মচারী ছিলো। মরদেহ উত্তোলনের সময় চরফ্যাসন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত জানান, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত ওমর ফারুকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার মামলার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, (৪ আগষ্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলকালীন সময়ে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার আল্লাহ করিম মসজিদ ফুট ওভার ব্রীজের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওমর ফারুক নিহত হন।
পরে (৬ আগষ্ট) পরিবারের লোকজন গ্রামের বাড়ী চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ডে এনে দাফন করেন। এরপর (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালতে নিহতের পিতা মিলন ফরাজী বাদী হেয়ে ৫৮ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি। এসময় হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন স্বজনরা।
মেসেঞ্জার/সাইফুল/তারেক