ছবি : মেসেঞ্জার
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দৈনিক নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি জাকির হোসেন ও দৈনিক আনন্দ বাজার প্রতিনিধি শাহজাহান আলী মনন কে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় শহরের বাণিচাঁদ সড়কের হোমিওপ্যাথিক কলেজের সামনে মোটর সাইকেলের পথরোধ করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে পেশাগত কাজ শেষে মোটর সাইকেল যোগে সাংবাদিক জাকির হোসেন ও শাহজাহান আলী মনন প্রেসক্লাবে ফিরছিলেন। এসময় পিছন দিক থেকে মোটর সাইকেল যোগে এসে ঘটনাস্থলে তাদের পথরোধ করে শহরের কুন্দল পূর্বপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবু বিন আজাদ ও বসুনিয়া পাড়ার জিকরুল হক (পিতা-অজ্ঞাত)।
তারা সাংবাদিকদ্বয়কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা বলে যে, তোদের অনেক বাড় বেড়েছে। জামাত করিস, নেতা সেজেছিস? বেটা প্রেসক্লাবে তালা লাগিয়েছ, আমাদেরকে যাইতে দেওনা। চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটাবো, প্রেসক্লাবের সভাপতি হওয়ার সাধ মিটাবো। প্রয়োজনে তোদেরকে ভবিষ্যতে সুযোগমত রাস্তাঘাটে একা পাইলে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন ও গুম করবো।
তারা আরও বলে, তোরা ছাত্র জনতার আন্দোলনের পক্ষে ছিলি। সেজন্য তোকে (জাকির) (৩ আগস্ট) পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল। সেসময় পুলিশ না ধরলে আমরা তোকে মেরে ফেলতাম। দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার মালিককে যেভাবে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে তোকেও সেভাবে ঝুলিয়ে মারবো বলে হুমকি দেয়।
এমতাবস্থায় সাংবাদিক শাহজাহান মুঠোফোনে কল দিলে ডেইলি অবজারভার প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ সাবের, দৈনিক জনকণ্ঠ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মহসিন ও দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন প্রতিনিধি শাহিদুল সরকার দুলাল ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তখন সবিস্তার শুনে আগত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে হুমকিদাতা অভিযুক্ত দুইজন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এব্যাপারে সাংবাদিক জাকির হোসেন বলেন, আবু বিন আজাদ ও জিকরুল হক কর্তৃক দিনের বেলায় সন্ত্রাসী কায়দায় জনসম্মুখে পথরোধ করে এমন হুমকি দেয়ায় আমি ভীত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এমন হটকারী ও দূর্বৃত্তপনা কর্মকাণ্ড ইতোপূর্বেও আবু বিন আজাদ ও জিকরুল হক ঘটিয়েছে। একারণে জিকরুল হক নারীদের দ্বারা শহরের প্রধান সড়কে ঝাড়ুপেটা খেয়েছিল।
মেসেঞ্জার/রিপন/তারেক