ছবি: মেসেঞ্জার
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক নিম্নমানের বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয় ও সরবরাহ, প্রয়োজনীয় মালামাল ও জনবলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গ্রাহক পর্যায়ে বিভ্রান্তমূলক তথ্য ছড়িয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে হয়রানি করার প্রতিবাদে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
শত শত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের শুরু থেকে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে নন-স্ট্যান্ডার্ড লাইন ও সাবস্টেশন তথা বিতরণ ব্যবস্থা নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে আরইবির সরাসরি কোন দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের মালামাল ক্রয় ও সরবরাহ করে আসছে।
এই নন-স্ট্যান্ডার্ড বিতরণ ব্যবস্থা ও নিম্নমানের মালামালের কারণে সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে জনসাধারণ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তির মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিদ্যুৎ কর্মীদের কষ্ট, দুর্দশা ও মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
২০০৯ সালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমূহের গ্রাহক সংখ্যা ছিল মাত্র ৭০ লক্ষ, যা বর্তমানে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ হয়েছে। প্রায় ৫ গুণ গ্রাহক বৃদ্ধিতে বিতরণ লাইন ও ইকুইপমেন্টের পরিমাণও সমহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পক্ষান্তরে শহরের পাশাপাশি দেশের গ্রামীণ জনপদেও বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পয়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে জনবলের সংখ্যা বৃদ্ধি না করায় কর্মরত কর্মচারীগণ ১২-১৬ ঘন্টা কাজ করার পরও গ্রাহক পর্যায়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন এবং অতিরিক্ত কাজের চাপে দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎ কর্মী নিহতের হার বেড়েছে।
তারা গ্রাহক সেবার মানোন্নয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, টেকসই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা বিনির্মাণে বৈষম্য দূরীকরণ, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করার দাবি জানান। এবং গ্রাহক পর্যায়ে বিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দ্বৈতনীতি পরিহার পূর্বক বিআরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকুরী বিধি প্রণয়ন ও সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরি নিয়মিতকরণের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ণের লক্ষ্যে শতভাগ গ্রাহক সেবা চালু রেখে সারা দেশে একযোগে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন।
মেসেঞ্জার/হিমাদ্রি/আজিজ