ছবি: মেসেঞ্জার
দৃষ্টিনন্দন 'কেও' ফুল। রাস্তার ধারে, নীচু জমিতে, খাল ও নদীর ধারে, স্যাঁতস্যাঁতে জঙ্গলে এদের দেখা পাওয়া যায়। নান্দনিক সৌন্দর্যময় এ ফুলকে কেওমূলও বলা হয়ে থাকে।
বেড়াতে গিয়ে শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টে অনিন্দ্যসুন্দর এ ফুলটি চোখে পড়ে।
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিজন চন্দ্র দেবনাথ জানান, এটি একটি সপুস্পক উদ্ভিদ। তিনি বলেন, এটি ইংরেজীতে Crepe ginger, Malay ginger, White Costus নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Costus Speciosus. এটি Costaceae পরিবারভূক্ত। চট্টগ্রামে এটিকে টিয়াটুই নামে ডাকা হয় বলে জানান তিনি।
জানা যায়, এটি দক্ষিন এশিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলের উদ্ভিদ। চীন, বাংলাদেশ, ভারত থেকে শুরু করে কুইন্সল্যাণ্ড, ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত এর আদি বিস্তৃতি। পরে এটি ওয়েস্টইণ্ডিজ, কোস্টারিকা, হাওয়াই, ফিজি, মরিশাস পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভারতে এটি ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে চাষ করা হয়ে থাকে। কোন কোন দেশে সৌখিন ফুল হিসেবে রোপন করা হয়।
শোভাবর্ধনকারী কেও গাছে বর্ষার পর সাধারনত সেপ্টেম্বরে ফুল ফুটে এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকে। কড়া লাল পুস্পমঞ্জরীর ওপর সাদা ফুল হয়।
কেও একটি ভেষজ গুনসম্পন্য উদ্ভিদ। জ্বর, এজমা, ব্রংকাইটিস রোগে উপকারে আসে। কেও গাছের মাটির নীচের কাণ্ড বা মূল ঔষধিরুপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মেসেঞ্জার/কাজল/আজিজ