ছবি : মেসেঞ্জার
বরগুনায় 'মশার প্রজননস্থান বিনষ্টকরণ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ২০২৪ উদ্বোধন করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম। বরগুনা পৌরসভার আয়োজনে ও বিডি ক্লিন বরগুনার সহযোগিতায় বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল দশটায় বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যবরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে কচুরিপানা অপসারণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের শুভ সূচনা হয়। প্রায় শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অংশগ্রহণে পরিষ্কার করা হচ্ছে আমতলা খালের কচুরিপানা ও ময়লা।
এক সময়ের নৌকা চলাচলের খালটি এখন মৃত প্রায়। বাসাবাড়ির বর্জ্য ও কচুরিপানায় খালটি একটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অনেকেই দখল করে নিয়েছে খালের অনেকটা অংশ। তাই সরু হতে হতে খালের অনেকটা অংশ ড্রেনে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো বরগুনায়ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভার বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ডেঙ্গুতে বরগুনার স্থানীয় বাসিন্দা এরিস্টোফার্মার এরিয়া ম্যানেজার জাকির হোসেনের মৃত্যুর ঘটনাটি বরগুনাবাসীকে প্রচণ্ড নাড়া দেয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, পাঁচ বছর যাবৎ দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। ঢাকার পরে বরিশাল বিভাগের বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি ছিলো। এবারও হঠৎ করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমাদের এখানে যে খালগুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে কচুরিপানা আছে। এলাকার লোকজন বাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলে খালটিকে ব্যবহারের অযোগ্য করে তুলেছে। খালটি মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পৌরবাসী যদি ময়লাগুলোকে খালে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে তাহলে খাল খালটি পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং মশার প্রজননও বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলমান থাকবে।
তালতলী উপজেলার বিডি ক্লিনের সমন্বয়ক রাখাইন জুঁই বলেন, বিডি ক্লিন ও বরগুনা পৌরসভার প্রায় শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সমন্বয়ে আজকের এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এলাকাবাসীর কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে তারা যেনো ময়লাগুলো খালে না ফেলে নির্দিষ্ট একটা স্থানে ফেলেন।
বিডি ক্লিনের অপর সমন্বয়ক সাজ্জাদ সজীব বলেন, আমতলার পাড়ের এই খালটি ময়লা ফেলার জন্য ভরাট হয়ে গেছে। আমরা এ খালটির প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর বাবু বলেন, খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা পৌরসভার রাখা ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে তারা রাতের অন্ধকারে ব্যাগ ভরে খালে ফেলে দেয়। এত্থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
জেলা প্রশাসকের এই উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে মশা প্রজননের নিরাপদ স্থানটি আবার পরিচ্ছন্ন একটি জলাশয়ে পরিণত হবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
মেসেঞ্জার/কেশব/তারেক