ছবি : মেসেঞ্জার
নাটোর শহরের কালুর মোড়ে তিনটি সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ শুরু। বর্তমানে ১০ জন মানুষ কাজ করছেন। বিনা মূল্যে অনেক কাজ শিখিয়েছেন। মাসে লাভ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ৩ হাজার পিস পোশাক উৎপাদন করে। ১০ বছর আগের কথা। হাতে ছিল এক লাখ টাকা। সেই টাকায় তিনটা সেলাই মেশিন কিনে নাটোর শহর কালুর মোড়ে পোশাক কারখানা শুরু করেন মো. মিজানুর রহমান মিজান।
সেই কারখানায় এখন মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ টাকা। কারখানাটিতে কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ১০ জন মানুষ।কারখানাটিকে মিনি হানজালা গার্মেন্টস নাম দিয়েছেন স্থানীয়রা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার বেকার যুবক দের সাবলম্বী করতে হানজালা মিনি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন মিজানুর রহমান মিজান।
মিজান কাপড় কাটিংসহ কারখানায় সহযোগিতা করেন। ধীরে ধীরে কারখানায় স্থানীয় বেকার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের স্বাবলম্বী। এবং কম খরচে সাশ্রয় মূল্যে পছন্দ অনুযায়ী তাদের শার্ট প্যান্ট সহ সকল জিনিস পত্র ক্রয় করতে পারেন। বর্তমানে ১০ জন মানুষ কাজ করছেন কারখানাটিতে। কারখানায় শার্ট প্যান্ট পাঞ্জাবি পায়জামা ও শিশুদের পোশাক তৈরি করা হয়।
হানজালা গার্মেন্টসে নাটোর, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে মানুষ পোশক তৈরি করতে আসেন । দৈনিক ১০০ পিস করে মাসে উৎপাদন হয় ৩ হাজার পিস পোশাক। যা থেকে মিজানুরের মাসিক আয় হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন কর্মচারী নিপুণ হাতে সেলাই মেশিন দিয়ে বিভিন্ন পোশাক সেলাই করছেন।
এ সময় মো. ইউসুফ আলী নামের এক কর্মচারী জানান, তিনি প্রায় দুই বছর আগে হানজালা গার্মেন্টসে বিনা মূল্যে বিভিন্ন পোশাক তৈরির কাজ শেখেন। কয়েক মাস আগে উৎপাদন মজুরি হারে এখানে কাজ শুরু করছেন। দৈনিক ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন তিনি।
আক্তার হোসেন নামের আরেক কর্মচারী জানান, তিনি হানজালা গার্মেন্টসে পোশাক তৈরির কাজ করে। এখন তিনি মাসে আট থেকে দশ হাজার টাকা আয় করে থাকেন, যা দিয়ে তার সংসার চলে।
‘হানজালা গার্মেন্টস’-এর উদ্যোক্তা মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘এলাকার বেকার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত যুবকদের স্বাবলম্বী করতে প্রায় ১০ বছর আগে হানজালা গার্মেন্টসটি প্রতিষ্ঠা করি। শুরুতে এক লাখ টাকা পুঁজিতে মাত্র তিন টি মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করি।
বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে ১০ জন বেকার যুবক কাজ করছে তবে তবে দুই ঈদে ও পূজার অতিরিক্ত প্রায় ২০ জনের মত মানুষ কাজ করে থাকে আমার প্রতিষ্ঠানে। এক লাখ টাকা থেকে পুঁজি দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ টাকা। প্রতি মাসে প্রায় ৫০ টাকা আয় হয়। সাশ্রয়ী মূল্য ভালো মানের পোশাক তৈরি করায় দিন দিন আমাদের তৈরি করা পোষাকে চাহিদা বাড়ছে। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন ডিজাইন আমি নিজে করে থাকি।
তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো বড় পরিসরে গার্মেন্টস স্থাপন করে বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী করার আশা আছে।’ নাটোর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাছুদুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমান ক্ষুদ্র থেকে শুরু করে আজ ভালো করেছেন। অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা থাকলেও যে কেউ সফল হতে পারবে। আমি তার ব্যবসার আরো সফলতা কামনা করছি।
মেসেঞ্জার/আরিফুল/তারেক