ছবি : মেসেঞ্জার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা গ্রামে অবস্থিত গো গ্রীন সেন্টারে বিশ্ব খ্যাত ব্লাত বেঙ্গল ছাগল ও ভেড়া পালন লাভজনক করার লক্ষ্যে স্থানীয় খামারীদের নিয়ে সেন্টারের অন ফার্ম ট্রেনিং রুমে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় এসিডিআই ভোকা প্রকল্পের সমন্বয়কারী সরোয়ার হোসেন শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ওয়েভ ফাউন্ডেনের সমন্বিত কৃষি ইউনিট ও এসিডিআই ভোকা প্রকল্পের যৌথ আয়োজনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় ছাগল ভেড়া পালন করে কিভাবে একজন প্রান্তিক কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে এবং কিভাবে ছাগল ভেড়া নিরাপদ ভাবে পালন করা যায়, কিভাবে এর উৎপাদন বাড়ােেনা যায়, কিভাবে এর আয়-ব্যয় হিসাব করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ইছা জাকারিয়া ও ডা.আবু সুফিয়ান। এ ছাড়াও কর্মশালার শুরুতে বক্তব্য রাখেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তার বক্তব্যে বলেন, এ জেলায় গ্রামীণ পর্যায়ে দেশী ব্লাক বেঙ্গল জাতের কালো ছাগল পালনের প্রচলন অনেক দিনের। এখানে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সবাই দেশী জাতের কালো ছাগল পালন করে সংসারে স্বচ্ছলতা নিয়ে আসে। ব্লাক বেঙ্গল ছাগলকে গরিবের গাভী বলা হয়। যার বাড়ীতে ৫ টি ছাগী আছে সেই পরিবার বছরে নিম্ন ২০টি বাচ্চা বিক্রি করতে পারে। ১ বছরের একটি ছাগলের বাচ্চার দাম ৫ থেকে ৭ হাজার। সেই হিসাব অনুযায়ী ২০টি ছাগলের বাচ্চার দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা। এটি একটি সুযোগ এই এলাকার মানুষের জন্য। আর এই সুযোগে আমারা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হব।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আপনারা যারা ছাগল, গরু ও হাঁস-মুরগী পালন করছেন তাদেরকে সরকারীভাবে দেওয়া বিনামূল্যের ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। সরকারী সুবিধার বাইরে আপনারা যদি এগুলো কিনতে যান তাহলে এতে অনেক ব্যয় হবে। এর ফলে প্রাণী লালনপালন করে সেটা বিক্রি করে আপনারা তেমন লাভবান হতে পারবেননা। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরতদের পরামর্শ ছাড়া পশু চিকিৎসা ক্ষেত্রে আপনারা নিজে কোন সিদ্ধান্ত নিতে যাবেননা। এতে করে আপনার পালিত পশুর মৃত্যুও হতে পারে। অনেক আশা নিয়ে আপনারা পশু পালন করেন, কিন্তু পশু সেবার অদক্ষতার এবং ত্রুটির কারনে সেটা হতাশায় পরিণত হতে পারে। যা কাম্য নয়। রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হয়, সেকারনে সুস্থ পশু পালন করাও আপনাদের দায়িত্ব। কর্মশালায় ৪০ জন প্রান্তিক খামারী অংশগ্রহন করেন।
মেসেঞ্জার/লিটন/তারেক