ঢাকা,  বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

তিস্তা মহাপরিকল্পনা এখনো নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে: আমিরুল হক ভূঁইয়া

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২১:১৪, ৩ অক্টোবর ২০২৪

তিস্তা মহাপরিকল্পনা এখনো নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে: আমিরুল হক ভূঁইয়া

ছবি : মেসেঞ্জার

তিস্তা নদীর বিশেষ কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নয় নীলফামারীর ডিমলা থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা নদীর বাম ও ডান তীরে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করা হবে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তার ডান তীরে ভাঙ্গনের কবলে পড়া হরিণচওড়া এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা এখনো নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে আছে। এখন বাংলাদেশ সরকার একটা গবেষণা করেছে। সেই গবেষণার উপর ভিত্তি করে নদীর দুই তীরের ভাঙ্গন প্রতিরক্ষা মূলক কাজ করা হবে। যেন সামগ্রিকভাবে আমরা তিস্তা নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে পারি এবং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পারি।

এরআগে যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা ছিলো সেটির অপেক্ষা না করে আমরা নিজেরাই নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবো। আর তা যত দ্রুত সম্ভব। এসময় তিস্তার ভাঙ্গন প্রতিরোধে নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

লালমনিরহাটের ভাঙ্গনের কবলে পড়া হরিণচওড়া এলাকা পরিদর্শনকালে এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের তত্বাবধায়ক সার্কেল-১ ও ২ এর প্রকৌশলী আহসান হাবিব, মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৗশলী শুনীল কুমার রায়, খুনিয়াগছ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার, জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ (ভিপি আনিছ) সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সচেতন সমাজের প্র্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ যে সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলে হওয়া টানাবৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানিতে তিস্তায় বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে প্লাবিত হয় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল তিনদিন ধরে বন্যার পানি নেমে যাওয়া শুরু করলে তিস্তার ডান ও বাম তীরের ২০টি পয়েন্টে দেখা দেয় ভয়াবহ ভাঙ্গন।

জেলার সদর উপজেলার হরিণচওড়া, রাজপুর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবরধন, বাহাদুর পাড়া,কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়িসহ ভাঙ্গন প্রবন এসব পয়েন্টে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শতাধিক বসতভিটা, কয়েকহাজার হেক্টর আমনের ক্ষেতসহ ফসলি জমি।

এরমধ্যে শুধুমাত্র হরিণচওড়ায় তিনদিনে ৩০টি বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অন্যত্র সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে শতাধিক বসতভিটা। ঝুঁকিতে রয়েছে আরো অন্তত ১৫ হাজার ঘরবাড়ি, হাজার হাজার একর আমনের ক্ষেত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্মৃতি বিজরিত স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করলেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙ্গন।

মেসেঞ্জার/লাডলা/তারেক