ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদকে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে পুলিশ তাকে রাজশাহীর আদালতে হাজির করল আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে সাবেক এমপি আবুল কালামকে আদালত থেকে বের করা হলে বিক্ষুব্ধ জনতার একজন তার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। তবে হেলমেট থাকায় রক্ষা পান কালাম। পরে পুলিশ তাকে দ্রুত প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয়।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ আগে বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পান। এরপর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। পরে স্ত্রী খন্দকার শাইলা পারভীনকে পৌরসভার মেয়র করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক মোঃ আমান উল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদকে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে বুধবার (২ অক্টোবর) রাত ৮টায় রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে বাগমারা থানা-পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা থেকে রাজশাহী আনে।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, (৫ আগস্ট) বাগমারায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা পাঁচটি মামলার আসামি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ। আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে সব মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তারেক