ছবি : মেসেঞ্জার
'শিক্ষকের কন্ঠস্বর: শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বরগুনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বরগুনা জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
এরপর জেলা প্রশাসনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। অতিরিক্ত জলা প্রশাসক (সার্বিক) শুভ্রা দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বরগুনা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল, সিভিল সার্জন ডা: প্রদীপ কুমার মণ্ডল, বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মতিউর রহমান।
আলোচনা সভায় শিক্ষকবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৫ লাখ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন। এ শিক্ষকরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থার প্রায় শতকরা ৯৭ ভাগ পরিচালিত হয় বেসরকারি খাতে। মাধ্যমিক স্তরে একজন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন স্কেল ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
এ শিক্ষকরা ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা আর ১ হাজার টাকা বাসা ভাড়া পান, যা দিয়ে বর্তমান সময়ে ব্যয় নির্বাহ একেবারেই অসম্ভব। চাকরি করতে গিয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন অনেকে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরি ক্ষেত্রেও কোনোরকম নিরাপত্তা নেই।
চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে প্রায় তিন থেকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয়। যার ফলশ্রুতিতে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অর্থাভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হলেও বিভিন্ন সময় সেই শিক্ষকরাই লাঞ্ছিত হচ্ছেন চরমভাবে।
প্রধান অতিথি বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম তার বক্তৃতায় বলেন, সম্মানিত শিক্ষকদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। তাদের এই দাবিগুলো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরা হবে।
মেসেঞ্জার/কেশব/তারেক