ঢাকা,  শনিবার
০৫ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

রাবিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ৫ অক্টোবর ২০২৪

রাবিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ১৭টি আবাসিক হলের সমন্বয়ে সিনেট ভবনের সামনে থেকে শুরু এক র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৪ শীর্ষক আলোচনা ও শিক্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষকের কন্ঠস্বর : শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাবি'র পক্ষে তিনজন শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরা হলেন, রাবি'র অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপার্চায প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, রাবি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রফেসর ড. দাশ বাসুদেব কুমার, ও প্রফেসর ড. মো. একেএম আজহারুল ইসলাম বীর প্রতীক।

আলোচনায় প্রধান অতিথি প্রফেসর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে গুণি শিক্ষকদের সম্মাননার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় নিজের সম্মান বৃদ্ধি করেছে। আশা রাখছি বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের আয়োজন বারবার করবে।’ তিনি বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের কঠোর পরিশ্রম ও জ্ঞান উৎসর্গের স্বীকৃতি হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি অলঙ্কারিত করার দায়িত্ব আমাদের। মনে রাখতে হবে শিক্ষা শুধুমাত্র জ্ঞান প্রণয়নের জন্য নয়। শিক্ষকরা যে অনুপ্রেরণা ও রোল মডেল তৈরি করেন তা শিক্ষার্থীদের জীবনকে আলোকিত করবে।’

রাবি উপার্চায ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড বা শিক্ষক জাতি তৈরি করেন। এই কথাটাই কিছুটা কমতি আছে বলে আমি মনে করি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রে কি এমন দেখতে পারবো? যেখানে সকল শিক্ষক ভালো এবং সকল ছাত্ররা খারাপ আবার সকল ছাত্ররা ভালো শিক্ষকেরা ভালো নয়! তারমানে শিক্ষকতা পেশাটা আদান প্রদানের ব্যাপার।

ভালো শিক্ষক যেমন ভাল ছাত্র তৈরি করে, ভালো ছাত্র তেমন ভালো শিক্ষক তৈরি করে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ইতিহাসের একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি আমাদের সামনে সম্ভাবনা ও আশাবাদী হওয়ার সুযোগ আছে। আমাদের কর্মকর্তাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেবল গুণাবলি ছাড়া কোন প্রকার দলীয়, আঞ্চলিকতা ও আত্মীয়তা দেখা হবে না। আগস্ট ও জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের শিক্ষার্থীরা বহু বিশৃঙ্খলা ভেঙে দিয়েছে। ঐ বিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে না। আমরা সেই চেষ্টাই করবো। জুলাই আগস্টের শহীদদের রক্তকে আমরা অস্বীকার কিংবা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।’

অনুষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে “আমার দেখা সেরা শিক্ষক” এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে “আমার শিক্ষককে আমি যেভাবে দেখতে চাই” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী মোট ছয়জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের সম্মানে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করে আসছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তারেক

×
Nagad