ঢাকা,  শনিবার
২১ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

গোপালপুরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বসত বাড়িতে হামলা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ৫ অক্টোবর ২০২৪

গোপালপুরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বসত বাড়িতে হামলা

ছবি : মেসেঞ্জার

টাঙ্গাইলে গোপালপুরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাবেক সেনা সদস্যের নজরুল ইসলামের বসত বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুই দফায় জেলার গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াল ইউনিয়নের রাজ গোলাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘনটনায় থানায় একটি অভিযোগও দেয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন সুমি খাতুন, নাজিম উদ্দিন, সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আতিকুর রহমান আতিক।

জানা যায়, মৃত শুকুর মাহমুদের দুই ছেলে সরকারিভাবে বন্দবস্ত জমি নেন।  ১৯৭৫-৭৬ সালে ৪৩ শতাংশ জমি নেন মৃত মজিবর রহমান তালুুকদার ও ১৯৭৭-৭৮ সালে ৪১ শতাংশ জমি সরকারিভাবে বন্ধবস্ত নেয় আবুল হোসেন তালুকদার। ২০০৭ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ খারিজ আছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে ১ বছরের জন্য সরকারিভাবে কোন লীজ যাতে না দিতে পারে এরকম একটি রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর থেকে ওই পুকুর দখল করার চেষ্টা করে আপন ও এরশাদরা। শুক্রবার সকালে আবুল হোসেন তালুকদার ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে তাকে বাঁধা প্রদান করে ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

আপন ও এরশাদরা শুক্রবার সকালে জোরপূর্বকভাবে মাছ ধরে হেমনগর আড়তে নিয়ে যায় বিক্রি করার জন্য। পরে পুলিশের খবর দিলে তারা উদ্ধার করে আবুল হোসেন তালুকদারদের কাছে ফেরত দেয়।  

আহত সুমি খাতুন জানান, আমার পেঁপে গাছ থেকে পেঁপে পেরে নিয়ে যাচ্ছি তখন আপন আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। পরে এক পর্যায়ে আমার হাত থেকে পেঁপে থাপ্পড় দিয়ে ফেলে দেয়। পরে আমাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। আমাদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। 

আহত নাজিম উদ্দিন জানান, আমরা পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আপন ও এরশাদরা মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। তারা আমাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা মাছ ধরতে দিবে না। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। আপন ও এরশাদরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে ও আমাদের লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। এসময় আমিসহ তিনজন আহত হয়। 

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাপ মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, হেমনগর ফাঁড়ি এসআই লুৎফরকে তদন্তকারী দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেসেঞ্জার/মোস্তফা/তারেক