ঢাকা,  রোববার
০৬ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

রাজশাহীর ক্লুলেস হত্যার রহস্য উন্মোচন ও আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ৬ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহীর ক্লুলেস হত্যার রহস্য উন্মোচন ও আসামি গ্রেপ্তার

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজশাহীর দামকুড়া থানায় অটোরিকশা চালক হত্যা মামলার আসামি মো. মাসুম আলীকে (৩৪) র‌্যাব-৫ এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করেছে দামকুড়া থানা পুলিশ। আসামি মাসুম আলী মহানগরীর দামকুড়া থানার কাদিপুর ল'পাড়ার মো. আব্দুস সালামের ছেলে।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপুলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস বিফ্রিংয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।

আরএমপি কমিশনার বলেন, রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানার বাথানবাড়ির অটোরিকশা চালক সাজামুল (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু অনেক রাত হলেও সাজামুল বাড়িতে ফিরে না আসলে তাঁর স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজন তাকে খোঁজ করতে থাকেন।

পরের দিন (২২ সেপ্টেম্বর) সাজামুলের স্ত্রী প্রতিবেশী মাধ্যমে জানতে পারেন, দামকুড়া থানার ল পাড়া এলাকার কালু মিয়ার আম বাগানের কাছে সাজামুলের চশমা ও পায়ের স্যান্ডেল দেখতে পাওয়া গেছে। সাজামুলের স্ত্রী তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে সেখানে খোঁজাখুজি করে সাজামুলের মরদেহ পায়। সাজামুলকে গুরুতর আঘাতে কে বা কারা নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে রাখে। এ ঘটনায় সাজামুলের স্ত্রী মোসা: আজিজা বেগম দামকুড়া থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর দামকুড়া থানা পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ৩ টায় র‌্যাব-৫ এর সহযোগিতায় দামকুড়া থানা পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মাসুম আলীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি পুলিশকে জানায়, ভিকটিম সাজামুল ও আসামি মাসুম আলী পাশাপাশি গ্রামের পূর্বপরিচিত।অটোরিকশার লোভে সে সাজামুলকে হত্যা করেছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে আসামি মাসুম আলী, ভিকটিম সাজামুলের অটোরিকশা ভাড়া করে।

রাত আনুমানিক ১০ টায় দামকুড়া থানার ল'পাড়া এলাকার কালু মিয়ার আম বাগানে পৌঁছালে মাসুম আলী তার কাছে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে ভিকটিম সাজামুলের পিঠে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে ঘটনাস্থলে মরদেহ ফেলে রেখে অটোরিকশা ছিনতাই করর নিয়ে যায়।

ঐ রাতে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি নিয়ে মাসুম আলী পাবনার দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে চন্দ্রিমা থানার বিহাসের সামনের মোহনপুর ব্রিজ থেকে লোহার পাইপটি নিচে ফেলে দেয়। পরে পাবনায় গিয়ে সে অটোরিকশাটি তার পূর্ব পরিচিত সদর থানার মালঞ্চি এলাকার আঃ রশিদের কাছে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

আঃ রশিদ তাকে ৩০ হাজার টাকা দেয় এবং বাকি টাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে দিবে বলে জানায়। এদিকে ছিনতাইকৃত অটেরিকশার কাগজপত্র নেওয়ার জন্য মাসুম বাড়িতে আসলে দামকুড়া থানা পুলিশ র‌্যাব-৫ এর সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে।

পরে তার দেখানো মতে, পাবনা সদরের স্টেশন রোডের লস্করপুরের একটি অটোরিকশা মেরামতের গ্যারাজ থেকে সাজামুলের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে সাজামুলকে হত্যা করেছে মর্মে পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় স্বীকার করেছে।

রবিবার দুপুরে আসামি মাসুম আলীকে বিজ্ঞ আদালত সোপর্দ করা হলে আসামি মো. মাসুম আলী বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তারেক

×
Nagad