ছবি: মেসেঞ্জার
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা-ফোর্ডনগর সড়ক নষ্ট করে স্থাপন করা হয়েছে বালু নেয়ার পাইপ লাইন। আর এ পাইপ লাইনের মাধ্যমে বালু নিয়ে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর। ফলে, সড়কটিতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি অবৈধভাবে পুকুর ভরাট নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিন জানা গেছে, ধল্লা নর্দান পাওয়ার প্ল্যান্ট সংলগ্ন সরকারি পাকা সড়ক নষ্ট করে বালু নেয়ার জন্য স্থাপন করা হয়েছে দীর্ঘ পাইপ লাইন। উঁচু ও বৃহদাকারে নির্মাণ করা হয়েছে গতিরোধক। এতে প্রতিদিন যানবাহন চলাচলেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। গত ১৫ দিন ধরে ধলেশ্বরী নদীতে বালু ভর্তি বুলগেট থেকে দীর্ঘ পাইপ লাইন টেনে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর। এ অবৈধ কর্মযজ্ঞে একদিকে যেমন পাকা রাস্তাটির ক্ষতি করা হয়েছে অন্যদিকে, সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ফোর্ডনগর গ্রামের ইকবাল হোসেন শামীম (শামীম নেতা) তার লোকজন সানজিদুল, শাকিলসহ আরো ৪/৫ জনকে দায়িত্ব দিয়ে অবৈধভাবে এ পুকুর ভরাটের কাজটি করছেন। এ কাজে সরকারি পাকা রাস্তার পাশাপাশি অন্য রাস্তায়ও বসানো হয়েছে পাইপ। এতে এলাকাবাসী চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশপাশের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে এমন কর্মযজ্ঞ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো আইনি ব্যবস্থা। ফলে,তাদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জড়িতরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না বলেও জানান তারা।
পুকুর ভরাটের দায়িত্বে থাকা সানজিদুলকে স্পটে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি ।
অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন শামীম (শামীম নেতা) বলেন, আমি ১২৪ শতাংশ জমি বায়না করেছি। জায়গাটা নিচু হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ থেকে বুলগেটে করে বালু কিনে এনে পাইপ লাইন টেনে জায়গা ভরাট করছি। এটা অবৈধ কোনো কাজ না। চাষাবাদের জন্য জমিটি উপযোগী করছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি সড়ক নষ্ট ও অনুমতি না নিয়ে পুকুর ভরাট অপরাধ। আমি এখনই নায়েবকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মেসেঞ্জার/বাদল/আজিজ