ছবি : মেসেঞ্জার
মাদারীপুর জেলার শিবচরে মা ইলিশ রক্ষায় টাস্কফোর্স কমিটির এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা মৎস অফিস এবং উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক নানা বিষয় উল্লেখ করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, শিবচরের পদ্মানদীর যেসকল স্থানে নিষিদ্ধ মৌসুমে ধরা ইলিশ বিক্রি করা হয়, সেখানে যাতে অস্থায়ী কোন হাট-বাজার বসতে না পারে সেদিকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলেরা যাতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইলিশ ধরতে যেতে না পারে সেজন্য নদীতে একাধিক টিমের অভিযান থাকবে। একই সাথে শিবচর, শরিয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, সদরপুরের সাথে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করার পরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে। এদিকে ইলিশ যাতে সংরক্ষণ করতে না পারে সেজন্য শিবচরের সকল বরফকল ২২ দিন বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন,'মা ইলিশ সংরক্ষণে ইতোমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের পথে। আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা চলছে। শিবচরের পদ্মানদীর যে সকল পয়েন্টে ইলিশ ধরা হয়, ওই সকল স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখা। একাধিক টিম গঠন করে পদ্মার তীরে যাওয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোষ্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। নদীতে ২ শিফটে ৮ ঘন্টা করে টহল, সার্বক্ষণিক পাহাড়ার ব্যবস্থাকরা সহ মা ইশিল সংরক্ষণে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।'
এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মালেক বলেন,'আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর কঠোর অভিযান পরিচালনা করবো। পুলিশ, কোষ্টগার্ড, র্যাবের পাশাপাশি এবার আমাদের সেনাবাহিনীর টিমও ইলিশ রক্ষায় আমাদের সাথে থাকছেন।
সচেতনতা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে জেলে, সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের ছাত্রসমাজও এবার সাথে থাকছে। সর্বোপরি, মা ইলিশ রক্ষায় আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাবো।'
শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিমের সঞ্চালনায় প্রস্তুতিমূলক সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মালেক, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেন, চরজানাজাত নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) হাবিবুল্লাহসহ উপজেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, (১৩ অক্টোবর) থেকে (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় সস্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ।
মেসেঞ্জার/ইমতিয়াজ/তারেক