ছবি: সংগৃহীত
ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ৭ বছর পর মামলা করা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাবেক শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে প্রধান করে ২৫১ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের গতিরোধ করেন। সেখানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে ককটেল ও গুলি চালায়। তখন ২০-২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে আহত হন। এছাড়া প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। গাড়িবহর চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও চাঁদা আদায় করে।
এ ঘটনায় ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার ভুট্টো বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু, জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল, ছাগলনাইয়া পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ইয়াছিন শরীফ মজুমদার, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো, বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূঞা, চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।
এ ব্যাপারে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেসেঞ্জার/আজিজ