ঢাকা,  শনিবার
২১ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সিরাজগঞ্জে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:২১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সিরাজগঞ্জে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি : মেসেঞ্জার

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় (২ অক্টোবর) বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীরা প্রতিবন্ধীরা হলেন, উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামের দিদার আলী, আছমা খাতুন, শেফালী খাতুন এবং কে সি সালদাইড় গ্রামের নাজিম উদ্দিন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি বর্তমানে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ও বয়স্করা ২০২৩ সালে ভাতা প্রাপ্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। চলতি বছর তাদের নামে নতুন ভাতার টাকা বরাদ্দ হলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়। পরে (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরুল ইসলাম নতুন ভাতাপ্রাপ্তদের হিসাব খুলে বই দেওয়ার কথা বলে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেন।

সেখানে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রত্যেকের আঙুলের ছাপ ও ছবি তুলে রাখা হয়। পরবর্তীতে (২৯ সেপ্টেম্বর) আবারো তাদের ডেকে এনে প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ প্রতিজনের প্রাপ্ত ১০ হাজার ২০০ টাকার স্থলে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তদেরকে ৭ হাজার ৭০০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে দিয়ে তাদের নামের পাস বইটি হাতে ধরিয়ে দেন। পরে সুফলভোগীরা তাদের মুঠোফোনে প্রাপ্ত পুরো টাকার ক্ষুদেবার্তা দেখে বাকি টাকার দাবি নিয়ে ওই ইউপি সদস্যের কাছে গেলে তিনি তাদের বাকি টাকা দিতে রাজি হননি।

প্রতিবন্ধী দিদার আলী বলেন, শুধু আমাদের ভাতা নয়, ওই ইউপি সদস্য অন্তত ২০ জনের ভাতার টাকা এভাবে আত্মসাত করেছেন। বাকি টাকার জন্য ইউপি সদস্যের কাছে আমরা কয়েকদিন গিয়েছিলাম। কিন্তু ইউপি সদস্য আমাদের কোনো পাত্তাই দিচ্ছেন না। একারনে আমরা অভিযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ফলাফল দেখছি না।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম তুহিন বলেন, আমি ২০ থেকে ২৫ জন ভাতাপ্রাপ্তদের নতুন ভাতার টাকা দেওয়া হয়েছে। তার অনলাইনে আবেদন করে ভাতার টাকা পাচ্ছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে চারজন এমন অভিযোগ করেছেন এটা সত্য না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

বেলকুচি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার ঘোষ বলেন, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের অভিযোগটি সত্য। ছুটি থাকার কারনে ওই ইউপি সদস্যকে ডাকা হয়নি। আগামীকাল অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের ভাতার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

মেসেঞ্জার/রাসেল/তারেক