ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩১ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

চিলমারীতে হস্তান্তরের আগেই ব্রহ্মপুত্রে ভেঙে যাচ্ছে আবাসন প্রকল্পের ঘর

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

চিলমারীতে হস্তান্তরের আগেই ব্রহ্মপুত্রে ভেঙে যাচ্ছে আবাসন প্রকল্পের ঘর

ছবি : মেসেঞ্জার

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১০০ পরিবারের আশ্রয় নেয়ার জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্পটি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে একটি ব্যারাক অর্থাৎ ৫টি কক্ষ ভেঙে গেছে। তবে দায়িত্বশীল মাধ্যম বলছে, এখন পর্যন্ত আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়নি।

তবে স্থানীয়ভাবে ৬০ থেকে ৭০টি পরিবার সেখানে বসবাস করছেন। এদিকে ভাঙন হুমকিতে থাকায় অনেক দিন হতে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলছেন জনপ্রতিনিধিরা। তবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার অষ্টমীরচরের ৯নম্বর ওয়ার্ডের খোদ্দবাশপাতার এলাকার ১০০ পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর না হলেও বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ পরিবার রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন হুমকিতে আবাসনের এক দিকের একটি ব্যারাকের ৫টি কক্ষ ভেঙে গেছে নদীতে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা এখনি না নিলে পুরো আবাসনটি বিলিন হতে পারে বলে সঙ্খা রয়েছে।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম রেজা জানান, রাতে ২টি রুম নদীতে ভেঙে গেছে। আমি অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত থেকে ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল গুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখেছি। বিষয়টি নিয়ে এর আগে ইউএনও স্যার সহ পিআইও স্যারের ওখানে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল। 

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। যেকোনো সময় আবাসনটি নদীতে ভেঙে যেতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি আবাসনে ভাঙন শুরু হয়েছে। কাল আমি ওই চরে যাবো।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আবাসনের ঘর গুলো হস্তান্তর করা হয়নি। এমনিতে স্থানীয় ৬০-৭০ পরিবার সেখানে রয়েছে। এর আগে একটা কমিটি করে সুবিধাভোগীর তালিকা করা হয়েছিল কিন্তু অভ্যন্তরীণ ঝামেলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দীন জানান, ইউপি সদস্য ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। সেখানের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে এবং সরিয়ে রেখেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙে কথা হয়েছে। আপাতত তাদের জিও ব্যাগ বরাদ্দ নেই। তারপরেও কথা বলে রেখেছি যদি জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া যায় ভাঙন রোধ করার জন্য।আমাদের দিক থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

মেসেঞ্জার/রাফি/তারেক