ছবি : মেসেঞ্জার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ছাএসংগঠন ছাএশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবি এড. মোহাম্মদ শিশির মণিরের সৌজন্যে সুুনামগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সাথে বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সুুনামগঞ্জ শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্টিত হয়।
জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সেলিম আহমদ তালুকদার ও সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারন সম্পাদক এড. মোহাম্মদ শিশির মণির।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এড. সামছুদ্দিন, সুুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ, সাধারন সম্পাদক রওনক আহমদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, বাসস প্রতিনিধি আল হেলাল, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীর, বাংলা ভিশনের প্রতিনিধি মাছুম হেলাল, সাংবাদিক কুদরত পাশা, আরটিভির প্রতিনিধি মো. শহীদ নুর, আমিনুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রওনক আহমদ বখত, তৌহিদ মণির, সাংবাদিক মাসুক মিয়া, শাহজাহান চৌধুরী, একুশে টিভির প্রতিনিধি মো. আব্দুস সালাম, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি হাসান চৌধুরী, সাংবাদিক আমির হোসাইনসহ আরো অনেকেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবি এড. মোহাম্মদ শিশির মণির বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাএআন্দোলনের মুখে বিগত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের আমলে উন্মুক্তভাবে স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পেয়েছেন।
বিগত সরকারের আমলে সরকার গনমাধ্যকর্মীদের গলা চেপে ধরেছিল। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেডিজিটাল নিরাপত্তা নামে যে একটি কালো আইন তৈরী করা হয়েছিল সেই আইনটি পুরোপুরি বাতিলের প্রচেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিক দম্পতি সাগররুনি হত্যাকান্ডের তদন্ত কাজ এখন শুরু হয়েছে।
এতাদিন দেশে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা ও আইনের শাসন ছিল না। ফলে দেশে ব্যাভিচার, অনাচার, অত্যাচার আর জুলুমের স্বর্গরাজ্যে ছিল। এই সমস্ত মন মানসিকতা পরিহার করে আগামীতে যারা রাজনীতি করবেন তাদের প্রত্যেতকে সৎ এবং জনধরদী হতে হবে।
নতুনা আইনের শাসনের যেমন ব্যর্থয় হবে তেমনি জনগনের কাংঙ্খিত উন্নয়ন সাধিত হবে না। তিনি আইন মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ বিচার বিভাগকে আলাদা করে তাদের স্বায়ত্ব শাসন দিয়ে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে জনগন অন্তত ন্যায় বিচার পাবে এজন্য সকল ধরনের কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে সুুনামগঞ্জ ২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনে নির্বাচন করার অনুমতি দেন তাহলে তিনি প্রার্থী হবেন বলে ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সুনামগঞ্জের সকল গনমাধ্যমকর্মীদের সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মেসেঞ্জার/দ্বিপাল/তারেক