ছবি: মেসেঞ্জার
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পূজার ছুটিতে শ্রীমঙ্গলে ছিল পর্যটকের ভিড়। ৪ দিনের ছুটিতে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পট, চা-বাগান ছিল লোকে লোকারণ্য। বিশেষ করে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে পর্যটকের ঢল নেমেছিল।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর থেকে রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে পর্যটকের ভিড় লেগেই ছিল। লাউয়াছড়ার দায়িত্বে নিয়োজিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এই ৪ দিনে লাউয়াছড়ায় পর্যটক এসেছে ৪ হাজার ৪৪৯ জন। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ৯৯৭ টাকা।
চা-বাগানগুলোতে এখন চলছে ভর মৌসুম। চা-বাগান পর্যটকদের কাছে খুব আকর্ষণীয়। চা-কন্যাদের দু'টি পাতা একটি কুঁড়ি তোলার দৃশ্য দেখতে চা-বাগানগুলোতেও ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। মনোমুগ্ধকর এসব চা -বাগানের দৃশ্য ঘুরে ঘুরে দেখা আর সেলফি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন পর্যটক-দর্শনার্থীরা। শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী সেবা ফাউণ্ডেশনে শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ভ্রমনপিপাসুদের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। বিশেষ করে বিভিন্ন পশু-পাখি আর বন্যপ্রাণী দেখে শিশুরা খুব আনন্দে মেতেছিল।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দুরে মাছের অভয়াশ্রম ও পাখির অভয়ারণ্য প্রসিদ্ধ বাইক্কা বিলে ছুটে গেছেন অনেক দর্শনার্থী। এছাড়াও লাউয়াছড়া ও মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জিতেও ছিল আগতদের আনাগোনা। অনেকে ছুটে গেছেন নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর পাড়াগুলোতে। খাসিয়া, মণিপুরি, ত্রিপুরা, গারোসহ বিভিন্ন পল্লী ঘুরে তাদের বিচিত্র জীবনধারা ও সংস্কৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন আগত ভ্রমনবিলাসীরা। এছাড়াও বধ্যভূমি-৭১ এ পূজার ছুটির ৪ দিন ভিড় লেগেই ছিল।
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পূজার ছুটিতে শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট, কটেজ, বাংলো, হোটেলগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটকের বুকিং ছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক-দর্শনার্থীরা প্রাণ ভরে ঘুরে বেরিয়েছেন শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্পটগুলো।
মেসেঞ্জার/কাজল/আজিজ