ছবি : সংগৃহীত
দিনাজপুরের খানসামায় দুই দিনের ব্যবধানে কুকুরের কামড়ে ৩৪জন আহত হয়েছে। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। যদিও রাতে স্থানীয় যুবকরা ঘাতক কুকুরকে আটক করেছে। তবে যারা আহত হয়েছেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শনিবার ও রোববার উপজেলার পাকেরহাট আজগার মেম্বার পাড়া ও ছাগলহাটি এলাকায় কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ৩৪জন আহত হন। এছাড়াও কুকুর কামড় দিয়েছে বেশ কয়েকটি গরু-ছাগলকে। রাস্তায় যাকে দেখতে পাচ্ছে তাকেই কামড় দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে কুকুর।
কুকুরের কামড়ের পর আহতদেরকে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারী ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীদেরকেই ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এসব ভ্যাকসিনের দাম ৫০০ টাকা এবং একজনকে মোট ৩টি ভ্যাকসিন দিতে হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে আজগার মেম্বারপাড়া এলাকায় একটি শিশুকে প্রথম কামড় দেয় কুকুর। পরে সেই কুকুর আরও কয়েকজনকে কামড় দেয়। কামড় দিয়েছে বেশ কয়েকটি গরু ও ছাগলকেও। তাদের ভাস্যমতে, কুকুরটি পাগল। রাস্তায় যাকে দেখতে পাচ্ছে তাকেই কাড় দিচ্ছে।
দুই দিনে ৩৪জনকে কামড় দিয়েছে। এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে কুকুরটিকে আটক করার জন্য এলাকাবাসী জোড় চেষ্টা চালিয়েছে। অবশেষে রোববার (১৩ অক্টােবর) দিবাগত রাতে কুকুরটিকে আটক করেছে এলাকাবাসী। এরপর থেকে নতুন করে কেউ আর কামড়ের শিকার হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, দুই দিনে ৩৪জনকে কামড় দেয়া মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে যারা এসেছেন তাদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
এরপর ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দেয়ায় আশেপাশের সরকারী হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হয়েছে। এরপরও ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। আমরা রোগীদেরকেই ভ্যাকসিন কিনে নিয়ে আসার জন্য বলছি। তারা কিনে আনার পর আমরা তাদেরকে ভ্যাকসিন দিচ্ছি।
আমরা মাল্টিপল ভ্যাকসিন কিনতে বলছি, যাতে করে কম খরচেই অতিরিক্ত মানুষকে এই সুবিধা দেয়া যায়। তাতে করে তাদের অর্থের ব্যায় কমবে। সেই সাথে এই হাসপাতালে সরকারীভাবে যাতে করে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় সেজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও বলা হয়েছে।
কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। কুকুর নিয়ন্ত্রন বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সহযোগতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/কুরবান/তারেক