ঢাকা,  বুধবার
১৬ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

লাঠি আর কলসি খেলা দেখতে উপচে পড়া ভীড়

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

লাঠি আর কলসি খেলা দেখতে উপচে পড়া ভীড়

ছবি : মেসেঞ্জার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দেওগ্রামে বিনোদনের খোড়াক জুগিয়েছেন লাঠি খেলা। কালের বিবর্তনে মানুষ ভুলতে বসেছে এসব বিনোদন। তারপরও বাপ দাদার এ পেশাকে বুকে আঁকড়ে ধরে এখনো মানুষকে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন কয়কেটি পরিবার। দুদিন ব্যাপী চলে লাঠি খেলার মেলা। হারিয়ে যেতে বসা এ খেলা উপভোগ করতে দূর দুরান্ত থেকে মেলায় এসেছেন সব বয়সী মানুষ। আর মেলাকে ঘিরে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দু-দিন ব্যাপী হয়ে গেল বিলুপ্ত প্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার মেলা।

বাংলার ঐতিহ্যের অংশ এ বিনোদন নিয়ে মানুষের অনেক আগ্রহ রয়েছে। লাঠি খেলার নতুন করে কোন সংগঠন বা দল তৈরি না হওয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। ঢাক আর লাঠির তালে তালে নাচা-নাচি, অন্য দিকে প্রতিপক্ষের হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বনের প্রচেষ্টা সম্বলিত টান টান উত্তেজনার একটি খেলার নাম লাঠি খেলা। এই খেলাকে ঘিরে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের দেওগ্রামে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী লাঠি খেলার মেলা।

লাঠি খেলা দেখতে আসা রসেল বাবু বলেন, অনেকদিন ধরে লাঠি খেলা দেখা হয় না, জয়পুরহাট থেকে এসেছি এই লাঠি খেলা দেখতে। আজকের এই খেলা দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক আগে ছোটবেলায় দাদুর সাথে গিয়ে এই খেলা দেখতাম এসেছি, সাথে সন্তান কেও নিয়ে এসেছি। 

খেলা দেখতে আসা ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জেরিন বলেন, এর আগে আমি একবার লাঠি খেলা দেখেছিলাম কিন্তু থালা খেলা আর কলসি খেলা এখানে নতুন দেখলাম, খেলা গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। 

মূলত লাঠি হাতে করবতের সাথে মিশ্রণের নামই লাঠি খেলা। অনুশীলনকারীকে লাঠিয়াল বলা হয়ে থাকে। মূলত ঢাকের বাজনার সাথে লাঠি হাতে কসরতের মিশ্রণের নামই লাঠি খেলা। আর অনুশীলনকারীকে লাঠিয়াল বলা হয়।

এই খেলার জন্য লাঠি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট লম্বা হয়। তবে প্রতিটি লাঠিই হয় প্রায় তৈলাক্ত। প্রত্যেক খেলোয়ার তাদের নিজ নিজ লাঠি দিয়ে রণকৌশল প্রদর্শন করে। শুধুমাত্র বলিষ্ঠ যুবকেরাই এই খেলায় অংশ নেয়।

মেসেঞ্জার/মামুন/তারেক