ঢাকা,  মঙ্গলবার
২২ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

আস্তান মোল্লা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের বিরোদ্ধে অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ২১ অক্টোবর ২০২৪

আস্তান মোল্লা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের বিরোদ্ধে অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ছবি : মেসেঞ্জার

নওগাঁ আস্তান মোল্লা কলেজের পদত্যাগকারী অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুল ইসলামের নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও কলেজের গাছ কেটে আত্মসাৎ করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনা আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন মাহবুবুল ইসলাম। দলীয় প্রভাবে অধ্যক্ষ বেপরোয়া অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই একক সিদ্ধান্তে কলেজ পরিচালনা করে আসছেন।

পদত্যাগকারী অধ্যক্ষ নিয়োগ বানিজ্যসহ আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ করা হয় তাঁর সময়ে অনার্স পর্যায়ে ১২জন শিক্ষক, ল্যাব সহকারী ৪জন এবং নৈশ প্রহরী ১জন নিয়োগ দেয়া হয়। মোট ১৭জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ ছাড়াও মনগড়া ভাবে কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ, কেনাকাটা ও প্রয়োজনীয় খরচ করে এসেছেন। এসব খরচের মনগড়া খরচের ভাউচার সংরক্ষণ করে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এবং বিনা অনুমতিতে কলেজ ক্যাম্পাসের গাছ কেটে নিজে আত্মসাৎ করেন।

এর মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবীর প্রেক্ষিতে (২১ আগষ্ট) উক্ত মো. মাহবুবুল ইসলাম অধ্যক্ষ পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। 

পদত্যাগ করলেও তিনি অফিসের আলমারি গুলো'র চাবি অফিসে ফেরৎ না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এতে অফিসের কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাজপত্র ভেতরে আটকা থাকায় শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ, পদোন্নতি, টাইম স্কেল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না।

এ দিকে তাঁর উদাসীনতার কারনে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের মূল সার্টিফিকেট মার্কশিট প্রশংসাপত্র উইপোকা কেটে বিনষ্ট করে ফেলেছে। এর ফলে শত শত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হলে তারা আর তাদের এসব মুল কাগজপত্র ফেরত পাবেনা। ফলে আগামীতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এবং চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হবে।

মেসেঞ্জার/বেলায়েত/তারেক