ঢাকা,  মঙ্গলবার
২২ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

আশুলিয়ায় কোরআন অবমাননার অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ২২ অক্টোবর ২০২৪

আশুলিয়ায় কোরআন অবমাননার অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার

ছবি: মেসেঞ্জার

ঢাকার আশুলিয়ায় পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে তানিয়া আক্তার হ্যাপি (২৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, একইদিন সকালে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার শ্বশুড়বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তানিয়া আক্তার হ্যাপি ঢাকার আশুলিয়ার গোরাট ছনটেকি এলাকার মো. আব্দুর রহমানের মেয়ে এবং আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার মো. খলিলুর রহমানের স্ত্রী। মামলার অপর আসামি হলেন- ঢাকার লালবাগ বউবাজার এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আফ্রাহিম চৌধুরী (৩৫)। এ ঘটনায় আশুলিয়ার সুবন্দী এলাকার হাফিজ উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে মাওলানা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, বিয়ের পর মেয়েটির এক প্রবাসী ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ফেসবুকে তাদের নিয়মিত কথা হয়। কিন্তু মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রবাসী ওই ছেলে। তবে প্রেমিকা ভালোবাসার প্রমানস্বরূপ মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরীফকে পায়ের নিচে দিয়ে একটি ভিডিও ধারণ করে ছেলের কাছে পাঠায়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে প্রবাসী ওই ছেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়। এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বিষয়টি নজরে আসলে অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আশুলিয়ার মধুপুর জামিয়া আরাবিয়া মাখজানুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হোসাইন আহমেদ বলেন, ভিডিও আমাদের নজরে আনে স্থানীয়রা। পরে আমরা পুলিশকে কোরআন অবমাননার বিষয়টি জানালে তারা মেয়েটিকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটি বিবাহিত। তবু সে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে পরকীয়া করে আসছিল। তাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই এই কাজটি করেছে। তার কাজ ইসলাম কখনও সমর্থন করে না। তার কঠোর বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মেসেঞ্জার/নোমান/আজিজ