ছবি : সংগৃহীত
সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এশিয়ান টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এনামুল কবির মুন্না। এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, উপজেলার গিরিশনগর গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন ও টিলাগাও গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ রাজিব মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ বছর পূর্বে বিবাদী জসিম উদ্দিনের অপকর্মের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক মুন্না। যার প্রেক্ষিতে প্রশাসন জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে জসিম উদ্দিন সাংবাদিক মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হন্য হয়ে খোঁজে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১টায় সংবাদকর্মী মুন্না একটি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ি থেকে দেয়ারাবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে গিরিশনগর গ্রামে পৌছামাত্র বিবাদী রাজীব ও জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন এসে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
রামদা, লোহার রড, লাঠি-শোঠা নিয়ে তাকে প্রানে মারার উদ্দেশ্য এলাপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এতে গুরুতর জখমসহ মারাত্মকভাবে আহত হন সাংবাদিক মুন্না। পরবর্তীতে প্রান বাঁচাতে চিৎকার দিলে পথচারীসহ স্থানীয়রা তাকে আসামীদের হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দোয়ারাবাজার সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করে। জখমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে আসামীরা এ বিষয়ে কোন মামলা বা আইনের আশ্রয় নিলে সাংবাদিক মুন্না ও পরিবারের মানুষকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করে। তাই নিরাপত্তা চেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
এ ব্যপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, সাংবাদিক এনামুল কবির মুন্নার উপর হামলার ঘটনার একটি অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সাথে অজ্ঞাত আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মেসেঞ্জার/আশিস/তারেক