ছবি : মেসেঞ্জার
বৈষম্য অবসান কল্পে অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির দাবির কর্মসূচিতে ঢাকায় শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়স্থ আসিফ চত্বরে সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি মো. আমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। এসময় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষক।
১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে ৩২ বছর ধরে আমাদের ৪৯৫টি বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে প্রায় ৩৫০০ জন নন-এমপিও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে কোন বেতন-ভাতা না দিয়ে এমপিওবিহীন করে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। এর ফলে উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার পরেও অদ্যবধি সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছি।
এ ধারাবাহিকতায় (১৫ অক্টোবর) থেকে (১৭ অক্টোবর) পর্যন্ত ঢাকায় শিক্ষা ভবনের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৪:৩০ মিনিটে আমরা ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করি।
এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদেরকে অগ্রসর হতে বাধা দেয়। ফলে আমরা রাস্তায় বসে পড়ি। এরই মধ্যে আসরের নামাজের আজান হলে আমরা সেখানেই নামাজ আদায় করি এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার অসুস্থতার কথা জানতে পেরে তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করি।
এমন সময় পেছনের দিক থেকে অর্থাৎ খাদ্য অধিদপ্তরের দিক থেকে পুলিশ বাহিনী আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের অনেক শিক্ষক আহত, রক্তাক্ত হয় এবং সমাবেশ পন্ড হয়। এ ঘটনার জন্য আমরা শিক্ষক সমাজ লজ্জিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বক্তব্য রাখেন আরো বক্তব্য রাখেন, আবদুল হাকিম, গৌতম কুমার মজুমদার, তোফায়েল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, উত্তম কুমার মন্ডল, আমিমুল এহসান, পরিমল মন্ডল, আবু সাঈদ, নাজমুল ইসলাম, মোফাচ্ছিরুজ্জামান, বাহাউদ্দীন, কামরুল ইসলাম, তরুন সরকার, ডালিয়া, মাগফুরা, ডা. একরামুল, মাছুমা জুতিকা, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/আসাদ্দুজামান/তারেক