ছবি : মেসেঞ্জার
কৃষিখাতে সারা দেশে ২০ হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে তারা নিজে সাবলম্বি হবেন, দেশ কে সাবলম্বি করবেন। এজন্য কৃষি উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, তবেই সফল হওয়া সম্ভব। ফরিদপুরে সম্ভাব্য কৃষি উদ্যোক্তা বাছাইয়ের জন্য অংশজনের সাথে পরামর্শ কর্মশালায় এসে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ইমরুল মহসিন এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ফরিদপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে শহরের এসডিসি টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলার সম্মেলন কক্ষে এবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্মফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ এ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার ডিএএম অংগ) কর্তৃক প্রকল্পে এজেন্সি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর পার্টনার (ডিএএম অংগ) এর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ওমর মো. ইমরুল মহসিন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মহিদুল ইসলাম, বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ফরিদপুরের যুগ্ম পরিচালক এস. এম. ইকরামুল হক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক এএসএম মঈনুল আহসান, ডিএএম অংগ সিনিয়ার মনিটরিং অফিসার ড. নাসরিন সুলতানা কনসালটিং পাটনার ডিএএম অংগ এর ড. ম. মাহবুব আলম, কৃষি বিপনন অধিদপ্তর ফরিদপুরের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা জানান, সবজি ও ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ, মসলা প্রক্রিয়াজাতকরণ, দুগ্ধ জাত পন্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি পর্যটন, মাশরুম চাষ ও প্রক্রিয়াজাত করণে উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাব্য ৮টি ব্যবসায়ীক খাত রয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে জেলার সদর, মধুখালি, বোয়ালমারি ৩টি উপজেলার ৫০জন কে দেশের ১০টি পার্টার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর উপর প্রশিক্ষন দেয়া হবে। এসকল খাতে জেলার ১শ জন নারী-পুরুষ কে কৃষি উদ্যোক্তা হিসাবে বাছাই করে ট্রেনিং দেয়া হবে।
উদ্যোক্তাদের জন্য ১২ দিনের ট্রেনিং শেষে ইনকিউবিউশন সার্পোট দিবে সরকার। এর পর সরকারিভাবে ৭০ভাগ ভর্তুকি দিয়ে সহযোগিতা করার কথা জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানে জেলার ৩টি উপজেলা থেকে ৫০জন উদ্যোক্তা বাছাইয়ের পরামর্শ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/নাজিম/তারেক