ছবি : মেসেঞ্জার
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে হাতিয়ায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত সহ ধমকা হাওয়া বয়ছে। বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের নৌ-যোগাযোগ, প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৪২টি আশ্রয়ন্দ্রে ও সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক টিম। এ ছাড়া খোলা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোলরুম। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা প্রাশাসনের উদ্যোগে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধিরা।
এর আগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) ৩নং সতর্ক সংকেত দেওয়ার পর থেকে হাতিয়ার সাথে মূলভ’খন্ডের সকল ধরনের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া হাতিয়ার বিভিন্ন চরাঞ্চলে অবস্থান করা লোকজনকে জরুরী অবস্থায় নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিগে সকাল থেকে হাতিয়ায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এর সাথে ধমকা হাওয়া ও ভয়ে যাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। দ্বীপের সাথে সকল ধরনের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। নলচিরা ঘাটের পাশে ঢাকা-চট্রগ্রাম রুটে চলাচলকারী অসংখ্য লাইটার জাহাজ এসে নিরাপদে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা বলেন, হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে সব সময় দূর্যোগে ঝুকি বেশী থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় অনেক গুলো সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাইকিংসহ জনগনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে আমরা কাজ কবো।
মেসেঞ্জার/রাসেল/তারেক