ছবি: মেসেঞ্জার
হঠাৎ করেই বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫/২০ জন ডেঙ্গুর রোগী বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা: এসএম মনিরুজ্জামান।
চিকিৎসক সংকট ও জায়গার সমস্যার পরও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও আয়া। সব মিলিয়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে ভয়ঙ্কর অবস্থা বরিশালের। মারা গেছেন চলতি বছরে ৩২ জন।
দক্ষিনাঞ্চলের এক মাত্র স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গোটা বিভাগে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ ম-ল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাছিমা (৩৫) ও আমেনা (৬০) এবং বানারীপাড়া উপজেলার তারিফ খান (১৫) মারা যান। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০৪ রোগী ভর্তি হয়েছেন।
আর এ নিয়ে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ৮০ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭, পটুয়াখালীতে ৭, ভোলায় ৯, পিরোজপুরে ১২ ও বরগুনায় ২৬ রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চার হাজার ৬৩৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার হাজার ২৯১ জন।
এদিকে চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩২ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ২৫, বরগুনায় দুই, পিরোজপুরে দুই, পটুয়াখালীতে এক, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ও ভোলায় একজন রয়েছেন। অবশ্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা: এসএম মনিরুজ্জামান জানালেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না। এছাড়া বর্ষা ও জলাবদ্ধতার কারনে মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারনে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
মেসেঞ্জার/সাঈদ/আজিজ