ছবি : মেসেঞ্জার
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির রেদো সাহা এবং আলম শাহা দুই গ্রুপে মাইকিং কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ১০আহত হন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯ টায় গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে রেদো সাহা ও আলম শাহা গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে রেদো সাহা গ্রুপের লেলিন এর ছেলে উৎপল গুরুতর আহত হয়ে রংপুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। অন্যান্য আহতরা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তারেক রহমান নামে একটি ক্লাব রয়েছে গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তারেক রহমানের ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মাইকিং বের করা হয় যার নেতৃত্ব দেন আখতারুল, যিনি গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সাহেব গ্রুপের সদস্য। আখতারুল নিজেকে তারেক রহমান ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন।
পরবর্তীতে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি রেদো সাহা জানতে পেরে তার লোকজন পাঠিয়ে সেই মাইকিংয়ের মেমোরি কার্ড নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবারো আক্তারুলের লোকজন মাইকিং বের করে।
পরবর্তীতে রেদো সাহা লোকজন আবার আসলে তাদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আখতারুল গ্রুপের শ্রাবণ, রেদো সাহা গ্রুপের উৎপলের বুকে খুর মারে। এতে উৎপল গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আনা হয় পরবর্তীতে সেখান থেকে রংপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে উৎপল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। উৎপলের বুকে খুর মারেন আলম শাহা গ্রুপের আলম সাহার ছেলে শ্রাবণ। আলম সাহা এবং আখতারুল সাহা একই গ্রুপের। এছাড়াও আহত হন রেদো শাহা গ্রুপের, হাসান, নুর মোহাম্মদ, বাপ্পি, মিলটন আহত হন। অন্যদিকে আলম শাহ গ্রুপের, রাশেদ অন্তর আহত হন।
এই ঘটনাই উৎপলের মা করুনা রানী শনিবার (২৫ অক্টোবর) বাদী হয়ে সদর থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩৫ জনের নামে একটি মামলা করে। এতে সদর থানা পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় মো. নুর আলম সাহার ছেলে মো. সোহেল এবং তমিজ উদ্দিনের ছেলে বুলবুলকে কে আটক করে।
গড়েয়া ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সাহ কে রাতে ফোন দিলে, তিনি বলেন এমন ঘটনা ঘটেছে তবে এ বিষয়ে আপনার সাথে এখনই আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না কালকে আপনার সাথে দেখা করে বলবো। এ বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি রেদো সাহাকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।
এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত্রে গড়েয়া ইউনিয়নের দুই পক্ষের একটি মারামারি হয়। এতে উৎপলের মা বাদী হয়ে আজকে সদর থানায় একটি মামলা করে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা আজকে সন্ধ্যায় দুজনকে আটক করি।
মেসেঞ্জার/আরিফ/তারেক