ছবি : মেসেঞ্জার
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ১৭৫ বস্তা ধনিয়া সজ জব্দ করেছে বিজিবি। এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে ট্রাকের ড্রাইভার এবং হেল্পারকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জব্দকৃত মালের দাবিদার এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তিনি বৈধভাবে মাল ক্রয় করে বিক্রির জন্য সেগুলো ট্রাকে অন্যত্র পাঠাচ্ছিলেন। তার কাছে উক্ত মালের চালান এবং ক্রয় রসিদ সহ সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।
জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বাঘারচর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা (২৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় ১৭৫ বস্তা ধনিয়া সজ জব্দ করে, সেই সাথে ট্রাকের ড্রাইভার জিয়াউদ্দিন লাভলু এবং হেলপার আল আমিনকে আটক করে।
পরবর্তীতে (২৫ অক্টোবর) শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকার দিকে বিজিবির নায়েক সুবেদার ফরমান আলী বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় চোরাচালান আইনে একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় সেই ট্রাকের ড্রাইভার এবং হেল্পারকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭৫ বস্তা ধনিয়ার সজ জব্দ করা হয়েছে, যে বস্তার ভিতর ধনিয়াগুলি ছিল সেগুলা ইন্ডিয়ান বস্তা ছিল। ইন্ডিয়ান পণ্য হিসেবে আমরা মালগুলোকে জব্দ করেছি। কারন যে এলাকা থেকে মালগুলো জব্দ করা হয়েছে সেখানে ধনিয়ার চাষ হয় না। তার দাবী মালগুলো যে ভারতীয় পণ্য এ ব্যাপারে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
উক্ত মালের একমাত্র দাবিদার, ব্যবসায়ী রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, তিনি একজন পেশাদার ব্যবসায়ী, মেসার্স সিফাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে তিনি এই ব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি ধনিয়া ক্রয় করে ফরিদপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে সেগুলো বিক্রি করেন। এবারের বেলায়ও তিনি ১৯৫ বস্তা মাল ট্রাকে লোড করে ড্রাইভার এর হাতে চালান সহ ফরিদপুর জেলার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
যার প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে ধনিয়া ছিল। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তার মাল বিজিবি জব্দ করেছে। তিনি দাবি করেন, গাড়িতে লোড করা ১৯৫ বস্তা ধনিয়া সজের ভেতর ১৭৫ বস্তার হিসাব দেওয়া হয়েছে।
তাহলে বাকি মালগুলো কোথায় গেল? তার বাকি মাল উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তার মাল ইন্ডিয়ান বস্তার ভেতর গেল কি করে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সেসব বস্তা বর্ডার হাটে অহরহ কিনতে পাওয়া যায় প্রতি বস্তার দাম পরে ২০ টাকা।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান জানান, উক্ত ঘটনায় বিজেবির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৭৫ বস্তা ধনিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং বর্তমানে উক্ত মাল থানা হেফাজতে আছে। দায়েরকৃত মামলায় ট্রাকের ড্রাইভার এবং হেলপারকে আটক করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মেসেঞ্জার/উজ্জ্বল/তারেক