ছবি : মেসেঞ্জার
বঙ্গপসাগর থেকে উৎপত্তি ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে ধরলা নদী বেষ্টিত কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় দুইদিনের দমকা হাওয়া ও ঝড় বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে। হালাকা বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় এখানে অনুভুত হচ্ছে ঠান্ডা।
অনুভূত হওয়া ঠান্ডায় এখানকার মানুষজরা শরীরে মোটা কাপড় পরিধান করছে। রাতে বেলায় ঠান্ডায় কাঁথা পাতালা কম্বল ব্যবহার করতে ভুল করছেনা অনেকে। এখানে দমকা হাওয়া ও ঝড় বৃষ্টিতে কৃষকের চলতি আমন ক্ষেতের আধা পাকা ও কাঁচা শীষ বের হওয়া ধানের গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্র এখনো নুয়ে পড়া ধানের ক্ষেতের পরিমান নির্ধারণ ও তা জানাতে পারেনি। তবে পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে। কৃষকের ধারনা অনুযায়ী ফুলবাড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের শতাধিক বিঘা জমির আমন ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়ে। নুয়ে পড়া ধানের মধ্যে হাইব্রিড জাতের ও গুটি স্বর্ন জাতের ধানের পরিমান বেশি বলে কৃষকরা জানান।
এদিকে এখানকার নীচু এলাকার আমন ক্ষেত গুলোতে পানি জমে থাকায় ওসব ক্ষেতে শীষ বের হওয়া অধা পাকা আমন ধান গাছগুলো নুয়ে পড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়ে কৃষক। জমে থাকা পানিতে আধা পাকা ধান গুলো পঁচে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়েকিছু কিছু স্থানে আধা পাকা ধান কেটে নিচ্ছে কৃষক।
ফুলবাড়ী সদরের পশ্চিম কুটিচন্দ্রখানা চেয়ারম্যান পাড়ার কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, দুইদিনের দমকা হাওয়া ও ঝড় বৃষ্টিতে আমার প্রায় এক বিঘা জমির আধা পাকা আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়ে। ক্ষেতটি নীচু এলাকায় হওয়ায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ধান গুলো পড়ে থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে ক্ষেতটি থেকে আধা পাকা আমন ধান কেটে নিয়েছি।
একই এলাকার কৃষক সাইফুর রহমান, আশরাফুল হক, মোহাম্মদ আলী ও সাইদুল ইসলামসহ আরও অনেকের আধা পাকা ও কাঁচা শীষ বের হওয়া ধানের গাছ মাটিতে নুয়ে পড়ে। ধানের গাছগুলো মাটিতে নুয়ে পড়ায় এসব ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এসব নুয়ে পড়া আমন ধানের চিটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বরেও জানান কৃষকরা।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, এবার ফুলবাড়ী উপজেলায় লক্ষমাত্রার ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। দমকা হাওয়া ও ঝড় বৃষ্টিতে কত পরিমান ধান ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে তার পরিমান এখনো জানা যায়নি। পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।
মেসেঞ্জার/আনন্দ/তারেক