ছবি : মেসেঞ্জার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ঘাড়কাটি বিলের কচুরিপানার ভেতর থেকে ২০দিন পর অজ্ঞাত উদ্ধার করা কঙ্কালটি নিখোঁজ কিন্টারগার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুজন আলীর (৩০) বলে সনাক্ত করেছে তার আপন ভাই আব্দুস সবুর। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, মেদেনীপুর গ্রামের এক ব্যক্তি এদিন দুপুরে মাছ ধরতে ঘাড়কাঠি বিলে জাল পাততে যান। এসময় বিলের কচুরিপানার ভেতরে একটি কঙ্কাল দেখতে পান।
এসময় তিনি বিষয়টি মাঠে কর্মরত কৃষকদের জানান। খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবির সদস্যরা ও জীবননগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ ওই কঙ্কালটি উদ্ধার করে থানায় আনে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর কাজ চলছে। সিআইডি ও পিবিআই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে কঙ্কালের পরিচয় ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করবে।
এদিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুস সবুর জানান, উদ্ধার করা কঙ্কালটি তার আমার আপন ছোট ভাই নিখোঁজ স্কুল শিক্ষক সুজন আলীর। তিনি দাবী করেন, তার ভাই জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
(৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগরের ভাড়া বাসা থেকে সে নিখোঁজ হয়। মরদেহটি ৯০ ভাগ পচে গলে যাওয়ায় সহজে সনাক্ত করা সম্ভবহচ্ছিলনা। তবে তার ভাই সুজন অনেক আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল এবং তার শরীরে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে আমরা বুঝতে পারি মরদেহটি আমার ভাই সুজন আলীরই।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,মরদেহটি দেখে আসলে সনাক্ত করার কোন উপায় নেই। কঙ্কালের বাম হাতে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস সেটি কিন্ডার গার্টেন শিক্ষক সুজন আলীর। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া প্রকৃতপক্ষে মরদেহ কার তা সনাক্ত করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
মেসেঞ্জার/লিটন/তারেক