ছবি : মেসেঞ্জার
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ২২জনকে আটক করা হয়েছে। পরে আটকদের পুলিশে দিলে তাদের থানায় নেওয়া হয়। চাকরিপ্রত্যাশী আটকদের বাড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। লিখিত পরীক্ষার খাতায় সবার হাতের লেখা একই রকম হওয়ায় তাদের শনাক্ত করে আটকের কথা জানান নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা। দুপুর ২টা থেকে ২২৬ জনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৬জন চাকরিপ্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেননি।
রাত ১১টার দিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগের গাইবান্ধার উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২২জনের লিখিত পরীক্ষার খাতায় মিল পাওয়া গেছে।
ভাইভাবোর্ডের সামনে তারা স্বীকার করেছেন, তাদের পরিবর্তে অন্য কেউ প্রক্সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ প্রকৃত পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশে দেওয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির পেছনে বড় কোনও সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তপূর্বক ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা উদঘাটন করবে মর্মে আশা করা যায়। এর আগে শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় চাকরী প্রত্যাশীরা অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার ফলে ২২৬জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
চলতি বছরের (২৫ মে) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক ৫৫টি শূন্য পদ পূরণের নিমিত্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল। এতে এইচএসসি ও এসএসসি পাস চাকরিপ্রত্যাশীরা আবেদন করেন।
মেসেঞ্জার/সিয়াম/তারেক