ছবি : মেসেঞ্জার
বগুড়ার ধুনটে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাকাকরণ সড়কে বছর না যেতেই বেহালদশা। উপজেলায় মথুরাপুর ইউনিয়নের তালতলা থেকে কুড়িগাঁতী গ্রাম পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার আঞ্চলিক পাকা সড়কটি সংস্কারের পর এক বছরও টেকেনি। সড়কটি সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পর থেকেই দুই পাশে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাড়ে তিন কিলোমিটার পাকা সড়কটি সংস্কারে প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
এলাকাবাসি ও স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সড়কটি সংস্কার করায় ছয় মাস পর থেকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে মাঝেমধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই। তবে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন মথুরাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সাড়ে তিন কিলোমিটার এই সড়কের প্রশস্থকরণ সহ সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জুন মাসে।
এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর দায়সারা ভাবে সংস্কার কাছ শেষ করা হয়েছে। এই কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলো এলজিইডি। সংস্কার কাজ শেষ করার ৬ মাস পর থেকেই সড়কের দুই পাশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দুই পাশ থেকে ভেঙে পড়ায় সড়কটি সরু হয়ে গেছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করছে।
এলাকাবাসি জানান, গ্রামীন পাকা সড়কটি সংস্কারের পর থেকে অতিরিক্ত বোঝাই ট্রাক চলাচল করায় বেশী দিন টিকেনি। বিশেষ করে ভাটায় ইট তৈরীর জন্য অতিরিক্ত মাটিবাহী ট্রাক চলাচল করায় সড়কটি টেকসই হয়নি।
এছাড়া সড়কের দুই পাশে স্থানীয়রা অপরিকল্পিত ভাবে ডোবা কিংবা পুকুর খনন করেছে। এ কারণে অতিবৃষ্টির কারণে সড়কটি ভেঙে পুকুরে ভেঙে পড়ছে। এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে দুই পাশে পানি থাকায় কুড়িগাঁতী গ্রামের অংশে সড়কের ক্ষতি বেশি হয়েছে।
এই সড়কে নিয়মিত অটোরিকশা চালক আব্দুল মোমিন জানান, এই সড়কের মাঝে মধ্যেই পাশে ভেঙে গেছে এবং সড়কের মাটি ধ্বংসে গেছে। এতে করে ভাঙ্গনে গিয়ে অন্য যানবাহনকে সাইড দিতে আগেই থামতে হচ্ছে। এছাড়া কোন কারণে গাড়ি একটি চাকা ভাঙ্গনে পড়লে সব ছিটকে পড়ে যাবে। তখন বড় ধরণের দুঘটনা ঘটতে পারে। এমন জীবনের ঝুকি নিয়ে এই সড়কে নিয়মিত চলাচল করছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়ক সংস্কারে কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে। এরপরই বলা যাবে আসলে কী হয়েছিল। তবে সড়কটির দুই পাশে ভেঙে পড়ায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। নতুন করে সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তারেক