ঢাকা,  রোববার
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

গণশৌচাগার ভেঙে আওয়ামী লীগ নেতার হোটেল নির্মাণ

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:২১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

গণশৌচাগার ভেঙে আওয়ামী লীগ নেতার হোটেল নির্মাণ

ছবি : মেসেঞ্জার

নীলফামারীতে হাটের গণশৌচাগার ভেঙে দোকানঘর তৈরি করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতির বিরুদ্ধে। এতে হাটে আসা মানুষ বিপাকে পড়ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা গণশৌচাগার উদ্ধারে জেলা প্রশাসক পিটিশন দায়ের করেন।

পিটিশনে বলা হয়েছে, শুটিবাড়ী বাজারের গয়াখড়িবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সর্ব সাধারণের সুবিধার্থে সরকারি জায়গার উপর আরডিআরএস এনজিও কর্তৃক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করেন। কিন্তু বিগত আলয়ামী লীগের শাসন আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টয়লেট ভেঙে ঝিলিক হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট নির্মাণ করে।

জানা গেছে, জেলার ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটিবাড়ী হাট বসে সপ্তাহে দুদিন। হাটের দোকানগুলো স্থায়ী হওয়ায় সেখানে প্রতিদিনই কেনাবেচা হয়। আশপাশের চারটি চর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ আসেন এই হাটে।

কিন্তু সাধারণ ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য হাটের জায়গায় নির্মিত একমাত্র গণশৌচাগার ভেঙে প্রায় ৪ শতাংশ জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোককেদ আলী, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহের আলীসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

শুটিবাড়ী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ডিমলা-ডালিয়া সড়কের নুর হোটেলের পাশে গণশৌচাগার দখল করে দোকানঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী। মোকছেদ বলেন, জায়গা দখলের বিষয়টি অস্বীকার করেন। আমি দোকান ঘর হিসেবে একজন এর কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন দুলাল ইসলাম। তিনি বলেন, 'প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি এটা পরিষ্কার করে দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছি। তবে উপজেলা প্রশাসন বা ভূমি অফিস থেকে কোনো লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি।'

শুটিবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন বলেন, অনেক দূরদূরান্ত থেকে এই হাটে মানুষ আসে। গণশৌচাগার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, বিষয়টি আমরা জানা ছিল না। তবে, বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

মেসেঞ্জার/রিপন/তারেক