ছবি : মেসেঞ্জার
জামালপুরে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে সংগ্রহ করে ভোক্তাদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শহরের ফৌজদারী মোড়ে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহায়তায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রয় করছে বিশুদ্ধ জামালপুর নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সংগ্রহ করে অস্থায়ী এই বিপণন কেন্দ্র থেকে ন্যায্যমূল্যে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করা হচ্ছে। বিশুদ্ধ জামালপুরের সভাপতি শামসুল হক, সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আফরোজা জানান, মধ্যসত্ত্বভোগীদের জন্য কৃষকরা যেমন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়, তেমনি বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। তাই কৃষক ও ভোক্তাদের স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য সরাসরি ক্রয় করে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করা হচ্ছে। শহরের প্রচলিত অন্যান্য বাজারের পণ্যমূল্যের তুলনায় কম মূল্যে এখানে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। এতে করে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্যের মূল্যের ব্যবধান খুবই স্বল্প হচ্ছে, যার ফলে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।
আলু, বেগুন, শশা, লাউ, কাচামরিচ, কচু, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের পাশাপাশি ডিম, সরিষা তেল, হলুদ-মরিচের গুড়াসহ অন্যান্য পণ্য সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত এই বিপণন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শহরের বড় বড় বাজারের পণ্যের দামের তুলনায় এখানকার পণ্যের দাম কিছুটা কম। স্বল্প আয়ের নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য এটি বেশ বড় একটি উদ্যোগ। তবে কৃষিপণ্যের পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ বিক্রয় করা হলে দরিদ্র মানুষ আরও উপকৃত হত।
সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, বিক্রেতারা প্রত্যেকেই কৃষক ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণের উদ্যোক্তা। অন্যান্য বাজারের তুলনায় ৫ থেকে ১৫ টাকা কমে প্রতিটি পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। তারা নিজেরাই পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করছে। তাদের প্রশিক্ষণ ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হবে।
মেসেঞ্জার/উজ্জ্বল/তারেক