ছবি : মেসেঞ্জার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা হিউম্যান প্যাপিলোম ভাইরাস (এইচপিভি) নিয়ে মনোহরপুর পুকুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২১ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে প্রচুর গরম ও শিক্ষার্থীরা সকালে না খেয়ে টিকা নেবার কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে সবাই আশংকামুক্ত।
জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন হাইস্কুল ও কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামুল্যে টিকা হউম্যান প্যাপিলোম ভাইরাস (এইচপিভি) দেওয়া হচ্ছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কালীগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর পুকুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার নারী শিক্ষার্থীদের এই টিকা প্রদান করা হয়।
টিকা দেবার এক ঘন্টা পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাথা ব্যাথা ও বমি শুরু হয়। একে একে ২১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শিক্ষার্থী লামিয়া, সুর্বনা, রিমি, রুমি জানান, তারা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিকা নেন। টিকা নেবার প্রায় ১ঘন্টা পর তাদের মাথা ব্যাথা শুরু হয় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এর পর তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সুস্থ।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. ইউনুচ আলী জানান,সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্বাবধানে হাসপাতালের টিকা প্রদানকারী কর্মি তার মাদ্রাসার ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জরায়ু মুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম শুরু করে।
শিক্ষার্থীরা টিকা নেবার এক ঘন্টা পর কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাথা ব্যাথা ও বমি হতে থাকে। একে একে প্রায় ২১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। তাদের কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, নারীদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সরকার ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের বিনামুল্যে হিউম্যান প্যাপিলোম ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা বা ভ্যাকসিন দেবার কাজ চলছে।
এর আলোকে সোমবার কালীগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেওয়া হয়। তবে পুকুরিয়ার মনোহরপুর দাখিল মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী টিকা নেবার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং পর্যায় ক্রমে ২১ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা সুস্থ।
তিনি আরো জানান, প্রচুর গরম ও অধিকাংশ শিক্ষার্থী সকালে না খেয়ে টিকা নেবার কারনে তাদের মাথা ব্যাথা ও বমি হয়ে অসুস্থ হয়। সকলকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেসেঞ্জার/বিপাশ/তারেক