ঢাকা,  মঙ্গলবার
২৯ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

বৈষম্য নিরসনে মাদ্রাসাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার 

প্রকাশিত: ২১:৩২, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্য নিরসনে মাদ্রাসাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি

ছবি : মেসেঞ্জার

শিক্ষকদের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য দূর করতে মাদ্রাসাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ)। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সাভারে ঢাকা জেলার জেনারেল শিক্ষকদের সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এসময় সম্মেলনের প্রধান বক্তা সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা প্রদান ও মাদ্রাসাসহ সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানান এবং একটি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে সর্বজনীন বদলি প্রথা চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জহির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালার সাথে মাদ্রাসার এমপিও নীতিমালার বিরাজমান বৈষম্যের কারণে শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

শিক্ষক অসন্তোষ দূরীকরণে শিক্ষায় অর্জিত ডিগ্রি বা বিএড স্কেলকে উচ্চতর গ্রেড বিবেচনা না করে সহকারী শিক্ষকদের চাকরি জীবনে দু'টি উচ্চতর গ্রেড এবং দাখিল স্তরে সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে অষ্টম গ্রেডে বেতন-ভাতা দিতে হবে।

এছাড়া সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে চাকরির আট বছর পূর্তিতে কলেজের মতো প্যাটার্নভুক্ত মোট প্রভাষক পদের ৫০ শতাংশ প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি এবং পদোন্নতি বঞ্চিত সকল প্রভাষককে কলেজের মতো চাকরির ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিসহ পর্যায়ক্রমে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়ার দাবি জানান।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্য শিক্ষক সমাজ দেখতে চায় না। তাই মাদ্রাসার প্রশাসনিক পদে শিক্ষক নিয়োগে ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধন পূর্বক ২০১০ সালের পরিপত্র মোতাবেক প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা পূনর্বহাল করে সকল পর্যায়ের মাদ্রাসার প্রশাসনিক পদে জেনারেল শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করার মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বৈষম্য মুক্ত করতে স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসার এমপিও নীতিমালা সংশোধন এবং শিক্ষকদের সকল যৌক্তিক দাবি পূরণে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সম্মেলনে ঢাকা জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন দফতর সম্পাদক রাহমাতুল মাওলা খান। আলোচনা শেষে মো. সালাউদ্দিনকে সভাপতি, মো. নেকবর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ও মো. হেলাল উদ্দিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট ঢাকা জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

পরিশেষে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী বিপ্লবের সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সহাপতি উপাধ্যক্ষ মুহা. জোহরুল ইসলাম।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ড. মু. জাকির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. ওয়ালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. আব্দুল হালিম, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিউল আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক গুল মো. মাহবুবুল্লাহ, মো. আল-আমিন সরকার, অর্থ-সম্পাদক খোরশেদ কবির মাসুদ, আইন সম্পাদক মো. শাহ জালালসহ ঢাকা জেলার মাদ্রাসায় কর্মরত জেনারেল শিক্ষকবৃন্দ।

মেসেঞ্জার/নোমান/তারেক