ঢাকা,  মঙ্গলবার
২৯ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

আওয়ামী লীগ নেতা কবির পাটওয়ারী ৬ দিনের রিমান্ডে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২২:১৮, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগ নেতা কবির পাটওয়ারী ৬ দিনের রিমান্ডে

ছবি : মেসেঞ্জার

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও ওসমান গনি হত্যা মামলায় এবং পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ তিন মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারীকে ৬দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি সদরের চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পৃথক তিন মামলায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও ওসমান গনি হত্যা মামলায় এবং পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ পৃথক তিন মামলায় হুমায়ুন কবির পাটওয়ারীকে আদালতে হাজির করে ২৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

পরে আদালত শুনানি শেষে তিন মামলায় তার ৬দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের মামা হন।

(২০ আগস্ট) ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করে ছাত্র-জনতা। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নুরুল হুদা পাটোয়ারি।

উল্লেখ্য, (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সারাদেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পুরো লক্ষ্মীপুর। মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল পুরো শহর। হঠাৎ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের  নেতাকর্মীরা উত্তর তেমুহানী থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঝুমুর চত্বরের দিকে যাচ্ছিল।

এ সময় ছাত্র আন্দোলকারীদের মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারণকৃত চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে নির্বিচারে গুলি ছুড়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এর জের ধরে ফুঁসে ওঠে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে এগোতে থাকে তারা। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাহউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।

এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান ও ওসমান গনিসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এ সময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ৫০০ ছাত্র-জনতা। এ ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

মেসেঞ্জার/শিবলু/তারেক