ছবি : মেসেঞ্জার
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শত শত একরের অনাবাদি জমিতে ফসল ফলিয়ে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মো. আল মামুন সিকদার। ২০২১ সালের মে মাসে যোগদানে পর থেকে উপজেলার কৃষি বিভাগের কার্যক্রম উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের কৃষকদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি উপকরণ।
সরকারী ছুটির দিনে যখন অন্য দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘরে অবসর সময় কাটান, তখন তিনি কৃষকদের সাথে মাঠে প্রযুক্তি নির্ভর ফসলের বিষয়ে পরামর্শ দেন। চার বছরে সরিষা, আম, মালটাসহ ড্রাগনসহ বিভিন্ন দেশীয় ও বিদেশি জাতের বীজ ও কলপ চাষ করে কৃষক ও খামারীদের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
এছাড়াও হাটহাজারী বাসীর নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় করে তুলেছে বাড়ির আঙ্গিনায় এবং ভবনে ছাদে পুষ্টি বাগান। এদিকে ২ বছরে উপজেলায় সরিষা চাষে সর্বোচ্চ ফসল ফলিয়ে সারাদেশে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার। এছাড়াও ড্রাগন, মালটা,কাজু বাদাম, বিশেষকরে কম্পোস্ট সার সাধারণ কৃষক থেকে নিয়ে সৌখিন চাষীদের নিকট জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
এদিকে কয়েকমাস যাবৎ কপি চাষে করার জন্য ফার্মার থেকে নিয়ে সাধারণ কৃষকদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন তিনি। অথচ একসময় যেখানে কৃষকরা পুর্বে উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের সরকার কর্তৃক ন্যাযমুল্য সার, বীজ ও প্রনোদনা সুযোগ সুবিধা বিষয়ে জানত না এবং কোন পরামর্শ চাইতে বিড়ম্বনার স্বীকার হত। সেখানে তিনি যোগদানের পর থেকে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে কৃষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
অফিস চলাকালীন সময় যে কৃষক পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হলে, সেই কৃষক সহজে কৃষি বিষয়ে উপর বিভিন্ন পরামর্শ বা জানার জন্য তার নিজস্ব অনলাইন চ্যানেল কৃষকের দর্পন নামে চ্যানেলটিতে সহজে পরমর্শাটা পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছেন।
এছাড়াও তিনি অনেক বেকার যুবককে কৃষিতে যুক্ত করে কর্মসংস্থানে সৃষ্টি করেছেন। সেই সাথে কৃষক ও খামারীদেরকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে সভার আয়োজন করেন এবং নিত্য নতুন কৃষি প্রযুক্তির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। এমনকি দেশের সুনামধন্য কর্পোরেট হাউসগুলো কৃষিবিদ আল মামুন সিকদারের পরামর্শে কৃষি বিনিয়োগ করছে।
৪ বছরে উপজেলায় কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ও আধুনিক কৃষি সম্প্রসারন করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার দৃষ্টান্ত ভুমিকা রেখেছেন।
মেসেঞ্জার/সুমন/তারেক