ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩১ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

সাড়ে ৭ টাকা দরে এলো আরো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

সাড়ে ৭ টাকা দরে এলো আরো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম

ছবি : মেসেঞ্জার

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ৭ টাকা দরের আরো দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের (৫ নভেম্বর) থেকে চলতি বছরের (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত ছয়টি চালানে ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০ পিস মুরগীর ডিম আমদানি করা হয়েছে।

আমদানি করা ডিম এখন ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে ছাড়পত্র হবে। যা আগামী (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারে দাম কমাতে (১৭ অক্টোবর) এক আদেশে শুল্ক কমিয়ে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এদিকে ভারত থেকে আমদানি করে আনা ও বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মের ডিম বাজারে পর্যাপ্ত থাকলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি যশোরের বিভিন্ন বাজারে। ডিমের দামই কমছে না। ১১ টাকা ৮৬ পয়সা খুচরা বাজারে সরকার দাম নির্ধারন করে দিলেও বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেনাপোলসহ আশেপাশের বাজারে বাদামি রঙের ডিম ১৪ টাকা, দেশি ডিম ২২ টাকা করে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে।

সাদা ডিমের কোন সরবরাহ নেই বলে জানান ডিম বিক্রিতেরা। তারা জানান, আমরা যেভাবে ডিম কিনছি সেভাবেই বিক্রি করছি। আমরা ডিম কিনছি ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সেখানে আমরা বর্তমান ১৪ টাকায় বিক্রি করছি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতের দিকে ৬ষ্ঠ চালানের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। আগামী মাসের মধ্যে সংশ্লিস্ট আমদানিকারকের সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরো ৩৮ লাখ ডিম আমদানি করার কথা আছে।

ইতোমধ্যে বেনাপোল দিয়ে ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতি পূরনে সরকার আরো সাড়ে চার কোটি পিস মুরগীর ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলো ও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে বলা হলেও অন্য কোন প্রতিষ্ঠান এখনো আমদানি শুরু করেনি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ৮ টার দিকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের এ চালান আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন বুধবার কাস্টমস থেকে ছাড়করণের কাজ করবেন বলে জানা গেছে। প্রতি পিস ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা সরকারি শুল্ককর দেয়া হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতি পিস ডিমে মাত্র ৭৮ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে।

এতে আমদানি করা নতুন চালানের ডিম বাজারে অন্যান্য খরচসহ ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি করার কথা। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ভারত থেকে প্রতি পিস ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা দরে। প্রতিটা ডিমের আমদানি শুল্ক ৭৮ পয়সা।

বন্দরের ভাড়া, পরিবহন, ব্যাংক এলসি, এক্সপোর্টারের খরচ মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি।

(২১ অক্টোবর) থেকে ৫ শতাংশ শুল্কের ডিম খালাস শুরু হয়। আজও হচ্ছে। এখন দাম আগের চেয়ে কমবে। দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে এর সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে মাত্র দুটি চালানে প্রায় তিন লাখ ডিম আমদানি করার সুযোগ হয়। রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়।

এ জন্য তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরো দুই মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। যেটি নভেম্বরে শেষ হবে বলে জানান তিনি। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাস্টম হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ। আজই খালাস করে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি জিয়া উদ্দিন।

বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে ডিম আমদানির ছয় চালানে মুরগির ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। ঢাকার ‘হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন’ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো আমদানি করেছেন।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে (২১ অক্টোবর) ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং আজ ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম খালাস দেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকের ডিমের চালান খালাসে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

মেসেঞ্জার/জামাল/তারেক