ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩১ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

‘আওয়ামীলীগ খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে করতে হবে’

নাটোর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

‘আওয়ামীলীগ খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে করতে হবে’

ছবি : মেসেঞ্জার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, (২৮ অক্টোবর) থেকে ২০২৪ এর সকল গুম খুনেরর বিচার ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগসহ সকল খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে করতে হবে।

ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার অসংখ্যক নিরাপদ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলেছে, তাদেরকেই মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল-জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে জামায়াতে ইসলামী লালপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে লালপুর শ্রী সুন্দর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে 'উপজেলা আমীর আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদের বিচারের দাবীতে সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন আরোও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছিল। তারা ক্ষমতায় এসে ৫৭ জন চৌকুস বিডিআর কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও হত্যা করেছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা বিচারের কাজ স্বাধীনভাবে করতে পারতেন না।

অদৃশ্যের দেয়া লিখিত রায় বিচারকরা ঘোষণা করতো। তিনি আরও বলেন, জামায়াতের সাবেক আমীর শহীদ মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াত নেতাদের মিথ্যা ট্রাইব্যুনাল দিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামীলীগের এত পাপ ও অন্যায় করেছে যে শেষ পর্যন্ত তারা পালিয়েছেন।

ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। সেজন্য বর্তমান অন্তবর্ত্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ। দ্রুত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৬ সালের (২৮ অক্টোবরের) পথ ধরেই আওয়ামী লীগ দেশে যে সন্ত্রাসী রাজনীতি শুরু করেছিল তা ২০২৪ সালের (৫ আগষ্ট) পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তখন থেকেই দেশকে রাজনীতিশূন্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার সহ মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।

(২৮ অক্টোবর) ২০০৬ সালে পল্টনের বায়তুল মোকারম উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ জনসভায় আওয়ামী লীগ সহ চৌদ্দ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা নারকীয় তান্ডব চালিয়ে তারা জামায়াতে ইসলামীর ১৪ জন নেতা কর্মীকে হত্যা করে এবং শত শত নেতা কর্মীকে নির্মম ভাবে আহত করে। শুধু তাতেই ক্ষান্ত হয়নি জামায়াত নেতা কর্মীদের হত্যা করে তারা মরদেহের উপর নৃত্য করেছিল। গোটা বিশ্ববাসী তা দেখেছিল।

(২৮ অক্টোবর) নারকীয় গণহত্যার সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু স্বৈরাচারি সরকার সেই মামলা প্রত্যাহার করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে খুনিদের রক্ষা করেছিল। আমরা দাবি জানাই (২৮ অক্টোবর) লগি বৈঠার তান্ডবের সাথে জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং গণহত্যার সাথে জড়িত দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সহ চৌদ্দ দলের বিচার করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম। জেলা নায়েবে আমীর ও জামায়াতে মনোনীত নাটোর সদর আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রাথী অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক সাদেকুর রহমান।

এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আতিকুল ইসলাম রাসেল, বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল হাকিম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আফতাব আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মেসেঞ্জার/আরিফুল/তারেক