ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩১ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

আশার পর আনিস খুন,পরবর্তী টার্গেট কে?

বিল্লাল হোসেন, যশোর 

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

আশার পর আনিস খুন,পরবর্তী টার্গেট কে?

ছবি: মেসেঞ্জার

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে ২২ বছর আগে খুন হয়েছিলেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশা। এবার একই সন্ত্রাসীর হাতে খুন হলেন তার সেজো ভাই সিংহঝুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আনিসুর রহমান (৫৫)। তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

দুই ভাইকে হারিয়ে অন্য সহোদর ও পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের প্রশ্ন আশা ও আনিস হত্যার পর সন্ত্রাসীদের পরবর্তী টার্গেট কে?

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আশরাফ হোসেন আশার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে বিরোধ শুরু হয়।

২০০২ সালের ২৪ জুলাই সন্ত্রাসীরা চৌগাছার সিংহঝুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফ হোসেন আশাকে খুন করে। বিএনপি সমর্থক জগন্নাথপুর গ্রামের রোস্তমের ছেলে লেন্টু ও আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাদি ওই হত্যা আসামি ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত দিনে আমলে সন্ত্রাসীরা জগন্নাথপুরে একক আধিপত্য বিস্তার করে। ভয়ে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পাননি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আসে। আশাকে হত্যা করার ২২ বছর পর লেন্টু ও হাদীর নেতৃত্বে সিদ্দিকের ছেলে আমিন ও কোরবানসহ একদল সন্ত্রাসী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হামলা চালিয়ে তার সেজো ভাই আনিসুর রহমানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।  

নিহত আনিসুরের ছোট ভাই আশিকুর রহমান জানান, লেন্টু ও হাদির নেতৃত্বে আমার দুই ভাই আশরাফ হোসেন আশা ও আনিসুর রহমানকে খুন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে তাদের প্রাণ দিতে হয়েছে। দুই ভাইয়ের মৃত্যুর পর অন্য সহোদর ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিরাজ করছে। জানিনা এই সন্ত্রাসীদের পরবর্তী টার্গেট কে?।

আশিকুর রহমান আরও জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আর কেউ যেন এ ধরনের নির্মম খুনের শিকার না হন। খুনের সাথে জড়িত এলাকা থেকে পালালেও তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুই ভাইকে হত্যাকারীদের হত্যাকারীদের আটকপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার মেহেদী হাসান জানান, আনিসুর রহমান হত্যার সাথে জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারা আত্মগোপনে থাকায় আটক করা যাচ্ছে না। তবে অতিসত্ত্বর আটক হবে। জগন্নাথপুরে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
 

মেসেঞ্জার/বিল্লাল/আজিজ