ছবি: মেসেঞ্জার
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কর্মী দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ বিএনপির লোকজন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ছাতারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া গ্রামের রমজান মন্ডলের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল হামিদ ওরফে হামেদ গাইন (৫০) ও নজরুল ইসলাম গাইন (৪৮)। তারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ বিএনপির লোকজন। চা খাওয়া অবস্থায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে গাইন ও পেয়াদা বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ছিল। গাইন বংশ আওয়ামী লীগের সমর্থক ও পেয়াদা বংশ বিএনপি সমর্থক। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পেয়াদা বংশের লোকজন হামলা করে বলে তাদের দাবি। এতে দুজন নিহত হয়েছে।
পেয়াদা বংশের মৃত হারান বিশ্বাসের ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সুমনের নেতৃত্বে, মনির উদ্দিন মনো, মহাবুলের ছেলে ফারুক, রনির ছেলে রাসেল, ওয়াসিম, ইকরামুল, জীবন ও ইন্তাদুল তাদের লোকজন নজরুল এবং হামিদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আসমত, জামাল ও আকবর। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের পরিবার হত্যাকারীদের দ্রুত আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবির জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যেই কাজ করছে বলে তিনি জানান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
মেসেঞ্জার/তুহিন/আজিজ