ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতার বাড়িতে গিয়ে মারমুখী আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কর্ণফুলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও শিকলবাহা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী নুরুন্নবী তানভির। তিনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
দায়ের করা সাধারণ ডায়েরীতে যুবদল নেতা নুরুল ইসলামসহ আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজন হলেন, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব বাহার উদ্দীন (৪০), শিকলবাহা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রহমান (৬২) এবং তার মামা কালো মিয়া (৫৮)।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগকারী নুরুন্নবী তানভীরের ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর সুত্র ধরে অভিযুক্তরা গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নুরুন্নবী তানভীরের বাড়িতে গিয়ে মারমুখী আচরণ এবং প্রকাশ্যে নুরুন্নবী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী যুবদল নেতা নুরুন্নবী বলেন, “কিছুদিন আগে বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন জুয়েল দল থেকে বহিষ্কৃত হয়। এ খবরটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে উপজেলা বিএনপি নেতা এস এম মামুন মিয়ার পদ স্থগিত হওয়ার নিউজ আমি ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছিলাম। একারনে তারা আমাকে হুমকি দেয়। পোস্ট ডিলেট করার জন্য চাপ দেন। ”
“পরবর্তীতে তারা গত শনিবার আমার বাড়িতে এসে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যের মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যায়। এর পরের দিন রোববার রাতে বাহারের মামা কালো মিয়া আমাকে মারার জন্য মাতাল অবস্থায় দা হাতে নিয়ে তাড়া করে। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছ।” বলেন নুরুন্নবী তানভির।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তানভীরের সাথে গত এক বছরেও আমার ফোনে কোনো কথা হয়নি। এখন নিউজ হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। সেই সুযোগ নিয়ে তারা মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকেও বহিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, হুমকির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুন্নবী তানভীর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাসের অনুসারী। আর অভিযুক্তরা সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক থেকে পদ হারানো এস এম মামুন মিয়ার অনুসারী।
মেসেঞ্জার/ফামিমা