ছবি : মেসেঞ্জার
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কৃষককে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা পূর্ব বিরোধের জেরধরে কৃষক আরিফুল ইসলামকে ফাঁসিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। আরিফুল গোদাগাড়ীর সাগুয়ান ঘুন্ঠিঘর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তার পিতা আজিজুল হক, ছেলে রিয়াদ আলী, মেয়ে আরিফা সুলতানা, ভগ্নিপতি রুহুল আমিন, দুলাভাই মনিরুল ইসলাম, চাচা সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আজিজুল হক বলেন, আমরা মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছি। আমার ছেলে মো. আরিফুল ইসলামকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। (২৯ অক্টোবর) রাতে বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মাদক মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। অথচ সে পেশায় কৃষক। কখনো কোনো মাদকের সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।
তিনি আরও বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের ডানহাত নিজাম উদ্দীন চক্রান্ত করে আমার ছেলেকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে। নিজামের বাসা মানিকচরে হলেও আমাদের এলাকায় এসে ক্ষমতার দাপট দেখাতে শুরু করে। সে একাধিক মাদক মামলার আসামি এবং গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটে।
তার ছেলে শাহিনও মাদক ব্যবসা করে। সেও জেল খেটেছে। তার দাবি, এলাকার মসজিদ কমিটিতে নিজাম জোর করে সভাপতি হন। তিনি কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ঢোকার পর মসজিদের একটি গাছের পাতা একটি ছাগলে খেয়ে ফেলে। এটা নিয়ে এলাকায় দ্বন্দ হয়। (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুপক্ষের মারামারিতে রুহুল আমিন নামে একজন নিহত হন। তিনিও মাদক ব্যবসায়ী এবং নিজামের আত্মীয়। এ ঘটনায় থানায় তারা একটি মামলা করে।
আজিজুল বলেন, হত্যা মামলায় আমাদের আসামি করে। আমাদের ধরে নিয়ে যায়। আমরা পরে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসি। কিন্তু এতে তাদের রাগ আরও বেড়ে যায়।
পরে আমাদের আবার জেল খাটানোর জন্য মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমার ছেলে আটক হয়ে জেলে আছে। আমরা ছেলের মুক্তি ও ন্যায়বিচার কামনা করছি। এ সময় অভিযুক্ত নিজামের বিচার দাবি করেন আজিজুল।
অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। আমি ওসবের সঙ্গে জড়িত নই। তারাই হত্যা মামলার আসামি। গোদাগাড়ী থানার ওসি বলেন, র্যাব তাকে আটক করেছে।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তারেক