ছবি: মেসেঞ্জার
দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশন। এ কাউন্সিলকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় আত্রাইয়েও দীর্ঘ আওয়ামী শাসনে কোনঠাসা হয়েছিল বিএনপি। তারা উন্মুক্তভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করকেত পারেন নি। এমনকি তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূুচিগুলোও পালন করতে হয়েছে চার দেয়ালের ভেতর। উপরন্ত বিভিন্ন মামলায় অনেক নেতা কর্মীকে জেল খাটতে হয়েছে।
একদিকে মামলার মোকাবেলা অপরদিকে ঘরসংসার পরিচালনায় হিমসিম খেতে হয়েছে তাদের। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিএনপি। উচ্ছ্বাসিত হয়ে উঠেছে নেতা কর্মী। নতুন করে দল গোছাতে উন্মুক্তভাবে প্রতিটি স্থানে তারা দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই উপজেলার ৮ ইউনিয়নে তারা কমিটি গঠন করেছেন। আগামী ৬ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আহ্বান করা হয়েছে দ্বি-বাাির্ষক কাউন্সিল। এদিকে সভাপতি সাধারণসম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। নির্বাচনী তফশিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রার্থীদের পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলা বিভিন্ন জনপদ। এর সাথে চলছে অবিরাম মাইকিং। এ যেন স্থানীয় সরকারের কোন নির্বাচন।
জানা যায়, ২০১০ সালে বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই থেকেই চলছে আহবায়ক কমিটি দিয়ে দলের কার্যক্রম। নতুন করে নির্বাচনী ঢোল বাজায় বিএনপি নেতা কর্মীদের মাঝে ফিরে এসছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। আত্রাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল জলিল চকলেট বলেন, এ নির্বাচনে সভাপতি পদে এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু (আনারস প্রতিক) এমদাদুল হক পিন্টু ( চেয়ার প্রতিক), সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। তারা হলেন মো. তছলিম উদ্দিন (মোরগ প্রতিক), আব্দুল মান্নান সরদার (মাছ প্রতিক) বেদারুল ইসলাম টিপু (ঘোড়া প্রতিক) এবং কামরুজ্জামান মুকুল চৌধুরী (ফুটবল প্রতিক)। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে যারা প্রতিদ্বন্দীতা করছেন তারা হলেন আবু বক্কর ছিদ্দিক (মই প্রতিক), হাপিজুর রহমান (ছাতা প্রতিক), কামরুল ইসলাম সাগর (গোলাপফুল প্রতিক), শাহজাহান আলী (মোটরসাইকেল), আব্দুস সালাম (কাপপিরিচ প্রতিক) ও আব্দুল হাই লুটু (দোয়াত কলম প্রতিক)।
প্রার্থীরা চসে বেড়াচ্ছেন গোটা উপজেলা । সেই কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা। যে যার মত করে ভোটারদের ম্যানেজ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ইউনিয়ন কমিটির সকল সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
মেসেঞ্জার/নাহিদ/ফামিমা