ছবি : মেসেঞ্জার
ঢাকার আশুলিয়ায় ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরী (প্রস্তাবিত), কুটির শিল্প (ঝাড়ু তৈরীর কারখানা) ও সিমেন্টের ইট তৈরীর কারখানাসহ বসতবাড়ি ভাঙচুর করে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। এর আগে, সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়ার মির্জানগরের ঢাকা কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির আব্দুল করিম মৃধার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (৫০), কুরগাঁও নতুনপাড়া এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে আব্দুল জব্বার (৫০), চারিগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৮), আব্দুল জলিলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), আবু সাঈদের ছেলে আবু তালেব মুক্ত (৪৫) ও ডেন্ডাবর ফাল্গুনী হাউজিং এর আলী আকবর (৪৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জন।
ভুক্তভোগী জসীম উদ্দিন বলেন, আশুলিয়ার উত্তর রামচন্দ্রপুর মৌজাস্থ সিএস ও এসএ-১৮, আরএস-৪৮, বিআরএস খতিয়ান নং- ১৬৩, ১৬৪ জমির পরিমাণ ৩৪৫ শতাংশ আমি ক্রয় ও হেবা সূত্রে মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছি। এই জমিটিতে আমি ১টি পাকা বিল্ডিং, ১টি সেমি পাকা বিল্ডিং, ২০টি কক্ষ ও দোকান নির্মাণ করে এবং প্রস্তাবিত ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরী, কুটির শিল্প (ঝাড়ু তৈরীর কারখানা), সিমেন্টের ইট তৈরীর কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।
কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ আমার এসব সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের পায়তারাসহ বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিল অভিযুক্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১টি ভেকু ও ১টি ইট ভাঙ্গার মেশিন নিয়ে আমার সম্পত্তিতে অবৈধ ভাবে অনধিকার প্রবেশ করে।
পরে ভাড়াটিয়াদের হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে বাড়ী-ঘর, দোকানপাট ও কারখানা ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধণ করে। এছাড়া নির্মাণ কাজের জন্য আনা নির্মাণ সামগ্রী ও ইট তৈরীর মালামাল ভেকু মেশিন দিয়ে ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র ট্রাকে করে নিয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে আমি ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদীরা আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। একইসাথে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তারা ভাংচুর করে আমার অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধণ করে। অভিযুক্তরা এখনও আমার সম্পত্তিতে ভাংচুরের তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/নোমান/তারেক